৪০ এবং ৬০- বয়সের এই দুই পর্যায় থেকে বুড়ো হওয়ার মাত্রা বাড়ে।
Published : 21 Aug 2024, 05:08 PM
গবেষণা বলছে- ধীরে ধীরে বুড়ো হওয়ার বিষয়টা ঠিক না।
আমাদের সরল ধারণা হল- সময়ের তালে বুড়ো তো হতেই হবে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে মানুষের শরীরে ‘মলিকিউলার লেভেল’ বা আণবিক স্তরে পরিবর্তন ঘটে দুটি বয়সে- প্রথমটি হল ৪৪ আর দ্বিতীয়টি হল ৬০।
‘স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি’ এবং ‘সিঙ্গাপুরের নানইয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটি’র গবেষকরা যৌথভাবে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এই তথ্য আবিষ্কার করেন।
‘ন্যাচার এইজিং’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণার ফলাফলে জানানো হয়- সরলভাবে ধীরে ধীরে মানুষ বয়স্ক হয় না। বরং আণবিক পর্যায়ে দেহের বেশিরভাগ পরিবর্তন ঘটে ৪৪ এবং ৬০ বছর বয়সে।
এই বিষয়ে প্রধান গবেষক ও ‘নানইয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটি’র সহকারী অধ্যাপক ক্সিয়াওটাও শেন সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “আমরা ধীরে ধীরে বুড়ো হইয় না। বয়স বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য জীবনের কয়েকটি পর্যায়ের ওপর নির্ভর করে।”
যেমন- ক্যাফিন হজম করার শক্তি একবার হারায় চল্লিশের পরে। পরেরবার হারায় ৬০ বছরে বয়সে।
অ্যালকোহল যুক্ত যে কোনো পদার্থের বিপাক প্রক্রিয়া কমে বয়স ৪০ হলে।
গবেষক ও ‘স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাপক মাইকেল স্নাইডার- এই প্রক্রিয়াকে বয়সের দুটি ‘ঢেউ’ হিসেবে আক্ষা দেন।
তিনি বলেন, “বেশিরভাগ মানুষ পেশিতে টান বা আঘাত পেতে শুরু করেন বয়স চল্লিশ হলে। আর এই বয়স থেকেই সাধারণত বেশি পরিমাণে চর্বি জমতে থাকে। ‘সার্কোপেনিয়া’ বা পেশি ক্ষয় শুরু হয় ৬০ বছর বয়সে।”
এই দুই বয়সেই মানুষের দেহে প্রোটিনের পরিবর্তন ঘটে; যা কোষগুলোকে ধরে রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে- ষাট এবং এর বেশি বয়সিদের মাঝে হৃদসংক্রান্ত রোগ, বৃক্কের সমস্যা এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণ বেশি।
আবার রজোঃবন্ধ বা মেনোপোজ’য়ের কারণে নারীদের বয়সের ছাপ পড়ে। আর এই প্রক্রিয়া শুরু হয় ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে।
তাহলে কী করা উচিত?
এই গবেষণার ফল সুচিকিৎসার বিষয়ে সাহায্য করবে বলে আশা করেন গবেষকরা।
আর ব্যক্তিগত পর্যায়ে পরামর্শ দিতে গিয়ে তারা বলেন, “জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে চল্লিশ থেকেই। অ্যালকোহল সেবন কমাতে বা ছাড়তে হবে। ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত।”
স্নাইডার আরও পরামর্শ দেন, যাদের বয়স ষাটের ঘরে তাদের ‘কার্ব’ গ্রহণের মাত্রার দিকেও নজর দিতে হবে। বৃক্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে পান করতে হবে পর্যাপ্ত তরল বা পানি।
“জীবনের এই পর্যায়গুলোতে নিজেকে যত্ন নিলে সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বাড়বে”- মন্তব্য করেন শেন।
আরও পড়ুন
ষাটের পরে যে সব কাজ বন্ধ করা উচিত