অন্যদের চাইতে ডায়াবেটিকদের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে দ্বিগুন।
Published : 17 Nov 2024, 04:41 PM
সময়ের তালে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল করে দেয় ডায়াবেটিস।
এসব রোগের মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, গ্লুকোমা এবং ক্যাটার্যাক্টস বা ছানি পড়া।
সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট কেন্দ্রিক চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডা. ভিসেন্টে ডিয়াজ বলেন, “ডায়াবেটিস সামলানোর মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি বাঁচানো সম্ভব।”
ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকার ফলে সময়ে তালে চোখের শিরা উপশিরায় প্রদাহ তৈরি করে। এই প্রদাহ থেকে ধীরে ধীরে অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়, যা কিনা সম্পূর্ণ রূপে অন্ধ করে দিতে পারে।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি
চোখের পেছনে থাকা রেটিনা আলো ও ছবি তৈরি করতে সাহায্য করে।
চোখের রক্তবাহী শিরা ডায়াবেটিসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। এক সময়ে শিরা ফুলে ছিদ্র হয়ে রক্ত বা তরল বের হয়ে যায়। যা থেকে রেটিনা স্ফীত হওয়া, ক্ষত তৈরি এবং চোখে দাগ বা ‘আই ম্যাকুলা’ সৃষ্টি করে।
সমস্যা আরও বেড়ে যায় যখন ক্ষতিগ্রস্ত শিরা আরও ফুলে ওঠে এবং বেশি রক্ত বের হতে থাকে, যা রেটিনা কোষে দাগ তৈরি করে।
এই অবস্থা চলতে থাকলে সম্পূর্ণ রূপে অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
লক্ষণের মধ্যে আছে
গ্লুকোমা
চোখের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়। যখন চোখের পানি ঠিক মতো নিঃষ্কাষিত হতে পারে না তখন গ্লুকোমা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ফলে চোখে চাপ সৃষ্টি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেল্থ’য়ের তথ্যানুসারে ডায়াবেটকদের এই রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যান্যদের চাইতে দ্বিগুন।
লক্ষণ
ক্যাটার্যাক্টস বা ছানি পড়া
এই রোগ হলে ‘লেন্স’ বা চোখের মণির পেছনের স্বচ্ছ অংশে মেঘের মতো ঘোলাটে অবস্থা তৈরি হয়।
ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে চিনির মাত্রা বেশি থাকা থেকে চোখের অতিরিক্ত তরল তৈরি হতে পারে। যা চোখ ফোলা ও প্রোটিন তৈরি করে চোখের ‘লেন্স’য়ে। ফলে এক ধরনের ঘোলাটে মেঘাচ্ছন্ন অবস্থা তৈরি করে।
লক্ষণের মধ্যে রয়েছে
প্রতিরোধের পদ্ধতি
কয়েকটি পন্থায় ডায়াবেটিস থেকে চোখের ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আরও পড়ুন