যেভাবে করবেন ‘ফুট ফেইশল’

কোমল মসৃণ ও সুন্দর পায়ের জন্য করা চাই ‘ফুট ফেইশল’।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2023, 11:58 AM
Updated : 24 April 2023, 11:58 AM

শুধু মুখের যত্নে নয়, পায়ের যত্নেও করা যায় ‘ফুট ফেইশল’।

ত্বকের যত্নে নানান রকম পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। আবার হাত ও পায়ের যত্নে মাসে একবার ম্যানিকিওর এবং পেডিকিওর করা উপকারী। তবে খরচের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হয়ে।

এক্ষেত্রে পায়ের যত্নে ‘ফুট ফেইশল’ নিজেই করা যায়।

এই বিষয়ে নিউ ইয়র্ক’য়ের নিবন্ধিত পেশাদার মেডিকেল পেডিকিওরিস্ট মার্সেলা কোরেয়া বলেন, “বিভিন্ন ধাপের সমন্বয়ে ফু্ট ফেইশল করতে হয়। যা কি-না নখের আগা থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত বিস্তৃত।”

‘মেডি পেডি’ প্রতিষ্ঠানের এই কর্ণধার রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলেন, “বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে করা ফুট ফেইশল’য়ের পর পা হয় কোমল ও স্বাস্থ্যকর।”

উপকারিতা

“শুষ্ক, ফাঁটা চামড়ার কারণে নানান রকম অসুখের পাশাপাশি ফাঙ্গাস ও ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে”, একই প্রতিবেদনে বলেন টেক্সাসের পা, পায়ের আঙ্গুল ও নখের রোগ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অ্যানি শার্কি।

পরিষ্কার রাখা, এক্সফলিয়েট করা ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে ত্বকের আবরণ সুরক্ষিত থাকে। ফলে সহজে চামড়ার ক্ষতি হয় না।

কতদিন পরপর করা উচিত

প্রতি দুয়েক মাস পরপর অন্তত একবার ফুট ফেইশল করা উচিত, পরামর্শ দেন যুক্তরাষ্ট্রে টেনেসি’র পা, আঙ্গুল ও নখের রোগ বিশেষজ্ঞ টেক্স সং।

তিনি আরও বলেন, “কাজের জন্য যাদের পায়ে বেশি চাপ পড়ে, তাদের উচিত হবে একটু বেশি করা। এতে পায়ের বিভিন্ন ব্যথা ও অস্বস্তি দূর হবে।”

ফুট ফেইশল করার পদ্ধতি

ধাপ ১: ভেজানো ও পরিষ্কার করা

সাবান পানি দিয়ে পায়ের পাতা পরিষ্কার করার পর, পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। এক্ষেত্রে কুসুম গরম পানিতে খানিকটা এপসম সল্ট গুলিয়ে নিতে হবে।

ডা. শার্কি বলেন, “এরফলে পায়ের পাতা থেকে ব্যথা দূর হবে, স্বাভাবিকভাবে এক্সফলিয়েট হবে ও পায়ের পাতা হবে আর্দ্র।”

ধাপ ২: এক্সফলিয়েট

মৃদু ঘষে এক্সফলিয়েট করতে হবে। যাতে মনে হয় পায়ের পাতা নয়, একটি শিশুকে মালিশ করছেন।

ডা. শার্কি বলেন, “এক্ষেত্রে রাসায়নিক ও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে এক্সফলিয়েট করলে উপকার বেশি হবে।”

শুষ্ক ও শক্ত চামড়া আলতো করে ঘষে ওঠানোর জন্য ‘সি সল্ট’ ব্যবহার করা ভালো। আর রাসায়নিক উপাদান মড়া চামড়া ‍দূর করতে সাহায্য করে। এর জন্য সাধারণ ৭% গ্লাইকোলিক অ্যাসিড পানিতে মিশিয়ে আলতো করে ঘষামাজা করা উপকারী।

ধাপ ৩: চিকিৎসা

এবার পায়ের পাতার বিশেষ কোনো সমস্যা থাকলে সেদিকে নজর দিতে হবে। যেমন- শুষ্ক ও ফাঁটা গোড়ালির জন্য ব্যবহার করতে হবে ‘গোড়ালিতে মাখার বাম’ কিংবা লোশন।

ডা. শার্কি বলেন, “পা ভেজা থাকা অবস্থায় পেট্রোলিয়াম জেলি বা লোশন ব্যবহার করলে ত্বকে শুষে নেবে তাড়াতাড়ি।”

কিউটকলের দিকেও নজর দিতে হবে এই পর্যায়ে।

ডা. করিয়া বলেন, “এক্ষেত্রে যে কোনো পায়ে মাখার তেল বা নখের জন্য তৈরি বিশেষ তেল কিউটিকল ও নখের চারপাশে মাখতে হবে।”

তাছাড়া নখে কোনো সমস্যা থাকলে বা রংয়ের পরিবর্তন হলে, ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। পায়ের নখ বেশি বড় হলে এই ধাপে কাটতে হবে।

ধাপ ৪: ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার

এবার পুরো পায়ের পাতা জুড়ে ভালো মতো ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে হবে। বাজারে নানান ধরনের পায়ের জন্য ঘন ‘ফুট ক্রিম’ পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করতে পারলে ভালো। নইলে সাধারণ ময়েশ্চারাইজার দিয়েও কাজ হবে।

আরও পড়ুন

Also Read: বর্ষা মৌসুমে পায়ের যত্ন

Also Read: গর্ভবতীর জন্যে গরমে বিশেষ যত্ন

Also Read: পায়ের পেশির সমস্যায় পিকে