মসজিদ-মন্দির কতো মানা মানি, উৎসব আয়োজনে ছুটে যাওয়া জানি।
Published : 28 Aug 2023, 03:16 PM
আকাশ পাড়ে মেঘের খেলা বৃষ্টি নামে নামে
ঝম ঝমা ঝম বৃষ্টি ঝরে সেই বুঝি আর থামে
পাতার ডালে টিনের চালে
খড়কুটোতে নৌকার পালে
বৃষ্টি নামে ছন্দ মধুর যায় হারিয়ে মন
অনেক কিছু মনে পড়ে আকুল করা ক্ষণ।
গা শির শির হাওয়ার নাচন কাঁপায় চারদিক
ফুল-পাপড়ি ঝলমলে খুব আনন্দ ঝিলিক,
জল টুপ টুপ নদীর জলে
বৃষ্টি ফোঁটা গল্প বলে-
খেয়ার পালে ঢেউ উঠেছে উপচে পড়ে জল
আকাশ-পাড়ে মেঘে মেঘে ঝরছে অবিরল,
হাটের পাট খুব চুকেছে ঘুমিয়ে আছে পাড়া
ঘরে সবাই আটকে আছে কে কাকে দেয় তাড়া
কোথাও যাওয়া হলো না আজ
বৃষ্টি পড়ে ঐ পড়ে বাজ
সকাল-বিকাল আঁধার কালো বৃষ্টি নেচে যায়
বৃষ্টি ছড়ায় জলের ছোঁয়া আমার ছোট গাঁয়।
ফুলের মেলা হাতছানি দিয়ে ডাকে
দূরের আকাশ ঠিকানা লিখে রাখে
নদী ছুটে যায় দূর সুদূরের পানে
বাতাস ছড়ায় কতো কথা গানে গানে।
জোছনা মধুর জুড়ায় মন-প্রাণ
আলো ঝলমল ছড়ায় মিহিন ঘ্রাণ
চিরল পাতা স্বপ্ন আবেশে দোলা
কখনো কখনো ডেকে যায় হারবোলা।
সই হতে চায় ক্ষেত ফসলের মাঠ
চেনা জানা সেই অবারিত খেয়া-ঘাট
বইয়ের পড়া কোথায় হারিয়ে যায়
অবাক পৃথিবী শুধু ডাকে আয় আয়।
আমার কিশোর ভাবনায় এতো কিছু
সঙ্গী আমার নিশিদিন ছোটে পিছু
তাদের সঙ্গে চুপি চুপি কথা বলা
সবকিছু ছেড়ে দূর পথে শুধু চলা।
কতো চেনা মেঠোপথ শুধু ডেকে যায়,
ধুলোমাখা সেই গাঁয়ে আয় ফিরে আয়।
হৃদয় ব্যাকুল করা
আহা কতো স্মৃতি ভরা
দিনগুলো ভেসে উঠে চোখের পাতায়
মনে হয় ছুটে যাই রূপের সে নায়।
কতো মুখ কতো ছবি আহা মনে পড়ে
মিনুদের শিউলি সারারাত ঝরে।
কারা নেয় আগে ভাগে
কেউ চটে কেউ রাগে
খুশিতে সবার মন কলকল করে
এই রাগ এই না মিতালি সে ঝরে।
মসজিদ-মন্দির কতো মানা মানি
উৎসব আয়োজনে ছুটে যাওয়া জানি,
সবে থাকা পাশাপাশি
হাসি খুশি রাশিরাশি
সব কিছু মনে পড়ে হয় নাকো ছোঁয়া
সময়ের সাথে সাথে সব গেছে খোয়া।
কতো কিছু বদলেছে নেই সেই দিন
বাড়িঘর পাকা পাকা নেই চালা টিন,
দিনগুলো আজো ভাসে
চুপি চুপি ফিরে আসে
এই মনে লেগে আছে সেদিনের সুখ
এতো সব ভেবে ভেবে ভার হয় বুক।