ব্যাঙেদের এক পরিবার বাস করে ঢাকায়। মা-বাবা আর দুটো ছানা। উত্তরার একটা ড্রেনে ওদের বাস।
Published : 27 Aug 2020, 10:42 PM
কিন্তু ড্রেনের ময়লা পানি বাচ্চাদের ভালো লাগে না। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলে ওরা বাইরে বেরোয়। বৃষ্টির পানিতে ভিজতে দুজনেরই খুব ভালো লাগে।
কিন্তু বাবা-মা ওদের শাসায়। ড্রেনের বাইরে বেরোনো মানা। কখন কার পায়ের তলা অথবা গাড়ির চাকায় জীবন যায় সেই ভয়ে।
একদিন বড় ছানাটি জিজ্ঞেস করে- ‘আচ্ছা বাবা, সব ব্যাঙই কি ময়লা পানিতে বাস করে?’
বাবা উত্তর দেয়- ‘আরে না, নির্মল পানিতেও অনেকে বাস করে।’
এ কথা শুনে বাচ্চাটির আফসোস হয়, সেও পরিষ্কার পানি আর খোলা জায়গায় থাকতে চায়; খেলাধুলা করতে চায়।
সে বাবাকে বলে- ‘বাবা, তুমি এখানে কীভাবে এলে?’
বাবা গল্পের ঝাঁপি খুলে বসে। বাবা ব্যাঙ ছোট থাকতে গ্রামেই ছিলো। পরিষ্কার পুকুরে ছিলো ওদের বাসা। খোলামেলা পরিবেশে আনন্দে দিন যাচ্ছিলো। একদিন পুকুরের ধারের রাস্তায় খেলাচ্ছলে একটা ট্রাকে ওঠে পড়ে, তারপর এই জায়গায় এসে নামে। ওর বাবা-মার কথা এখনো মনে পড়ে।
বাবার গল্প শোনার পর থেকে রাতে বাচ্চাটির আর ঘুম আসে না। সে অনেককিছু চিন্তা করতে থাকে। এভাবে একদিন বাবাকে বলে ফেলে- ‘চলো না বাবা, আবার গ্রামে ফিরে যাই।’
বাবা কিছু বলে না। চুপ থাকে। দিন যায়, বাবা চুপ। কিছুদিন পর একরাতে বাবা ব্যাঙ সবাইকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে। সবাইকে নিয়ে একটি ট্রাকের পেছনে লাফিয়ে ওঠে।
গাড়ি ক্রমশ এগোয়। টঙ্গী ছাড়িয়ে সিলেটের পথে। কালিগঞ্জে রাস্তার পাশে সুন্দর একটি পুকুরে ব্যাঙেদের পরিবারটি নেমে পড়ে।
আহা! কি শান্তি, কি মনোরম! বাচ্চা ব্যাঙেরা তিরিং বিরিং করে। তিরিং বিরিং করে।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা [email protected]। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!