‘কেইবু কেই ওইবা’ নামে এ কাহিনি থেকে উপন্যাসটি লিখেছেন শানারেই দেবী শানু।
Published : 25 Feb 2025, 02:25 AM
সুন্দরবনে আজব এক বাঘের সন্ধানে এসেছে রাজন, বন্যপ্রাণী রক্ষা টিমের সদস্য হয়ে। মণিপুরী পৌরাণিক লোককথায় উল্লিখিত পরাবাস্তব এক অদ্ভুত প্রাণীর সাথে সুন্দরবনে সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটক গুম হওয়ার কেইসে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে আসা আধা বাঘ আধা মানুষের মতো এই আজব বাঘের মিল খুঁজে পাচ্ছে সে।
গহিন অরণ্যের নির্মম বাস্তবতা ও পরাবাস্তব মিথের দোলাচলে বিভিন্ন রহস্যময় অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছে রাজন ও তার দল। অনেকগুলো ধোঁয়াশার মতো প্রশ্ন মনে কুয়াশার মতো ঘুরপাক খাচ্ছে। গহিন অরণ্যে কে এই মণিপুরী প্রৌঢ় খাম্বাতোন? কেন সুন্দরবনে তার এই রহস্যময় নির্বাসন? সুন্দরবনের বাঘ নাকি পুরাণের বাঘ? কার আক্রমণে আতঙ্কিত জনপদ?
নাকি অন্য কোনো হিংস্র, অদৃশ্য লোভী বাঘের থাবা মানব সম্প্রদায়কে অন্ধকারে গুম করার পাঁয়তারা করছে? বাঘ নাকি মানুষ আদতে কে বেশি ভয়ঙ্কর? লোভ, লালসা, ক্ষমতার অহংকারে আটকে যাওয়া এই বাঘমানুষের রহস্যময় গল্পে শেষ পর্যন্ত বাঘমানুষকে কি খুঁজে পেয়েছিল রাজন?
অর্ধেক বাঘ আর অর্ধেক মানুষ। এমন অদ্ভুত এক প্রাণীর কথা লেখা আছে মণিপুরী পুরাণে। এদিকে দুম করেই মানুষ নিখোঁজ হচ্ছে সুন্দরবনের রিসোর্টগুলোতে। সেখানে বাঘের মুণ্ডু আর মানুষের দেহের সংমিশ্রণে কোনো এক প্রাণী নাকি দেখেছে কেউ কেউ। এই 'বাঘমানুষ' কি তবে মিথ না সত্যি? উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে পৌরাণিক রহস্য উপন্যাস ‘বাঘমানুষ’-এ।
উপন্যাসটি লিখেছেন কবি, ঔপন্যাসিক ও শিশুসাহিত্যিক শানারেই দেবী শানু। অমর একুশে বইমেলায় এটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনী সংস্থা ‘আজব’।
বইটি নিয়ে লেখক বলেন, “মণিপুরী একটি লোককাহিনিকে ভিত্তি করে মিথলজিকাল থ্রিলার উপন্যাস ‘বাঘমানুষ’-এর গল্প আবর্তিত হয়েছে। মূল গল্পটির নাম ‘কেইবু কেই ওইবা’।”
বইয়ের ভূমিকায় এস এম নিয়াজ মাওলা লিখেছেন, “উপন্যাসটি শুধু একটি থ্রিলার নয়; এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বার্তাও বহন করে। সুন্দরবনের পরিবেশগত বিপদ এবং মানুষ বনাম প্রকৃতির দ্বন্দ্ব এখানে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। একইসাথে, মণিপুরী সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক- যেমন তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, যুদ্ধশিল্প ‘থাং তা’, এবং তাদের ভাষার বৈচিত্র্য উপন্যাসটিকে সমৃদ্ধ করেছে।”
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু। মুদ্রিত মূল্য ৩৫০ টাকা।