এবার ছুটির সবচেয়ে ভালো দিক হল—বই পড়ার সুযোগ পাওয়া।
Published : 25 Mar 2025, 06:10 PM
অনেক দিন পর দীর্ঘ একটা ছুটি পেয়েছি। আগের কয়েক বছর রোজার মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ক্লাস থাকলেও এবার প্রায় দেড় মাসের বিরতি। তাই এই সুযোগে গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছি।
রোজায় অনেকের মত আমার দিনলিপিতেও এসেছে পরিবর্তন। রাতে ঘুমানোর পর সেহরির জন্য উঠতে হয় তিনটা-চারটার দিকে। খাওয়ার পর একটু ঘুমিয়ে নিই, এরপর শুরু হয় দিনের কাজকর্ম।
এবার ছুটির সবচেয়ে ভালো দিক হল—বই পড়ার সুযোগ পাওয়া। বাড়িতে এসেই নজরুল রচনাবলি আর প্রমথ চৌধুরীর বই সংগ্রহ করেছি। সকালটা কাটে বইয়ের পাতায় ডুবে থেকে। বিকেলে কখনো একটু হাঁটতে বের হই, বাড়ির চারদিকে ঘুরে দেখি।
পরিবারের সবার সঙ্গে সময়টা দারুণ কাটছে। ছোট দুই ভাইকে দেখাশোনায় মা ও দাদিকে সাহায্য করি। দাদার সঙ্গে জমিয়ে গল্প হয়, ধাঁধার খেলায় মেতে উঠি।
বাড়িতে আমার বয়সী কেউ নেই। কেউ ছোট, আবার কেউ বড়। তাই আগের মত খেলাধুলার সেই আনন্দটা খুঁজে পাই না। তবে প্রকৃতির সান্নিধ্য, পরিচিত পরিবেশের সঙ্গে দিনগুলো ভালোই কাটছে।
এমন নির্ভার ছুটি সামনে আর খুব একটা পাব না। পড়াশোনার চাপ বাড়বে, ব্যস্ততা বেড়ে যাবে। তাই এবারের ঈদটা মন ভরে উপভোগ করতে চাই।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।