গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭৩১ জন; এর অর্ধেকের বেশি ঢাকার বাইরের।
Published : 30 Jul 2023, 08:42 PM
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭৩১ জন।
এ বছর একদিনে ভর্তি রোগীর সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। এর আগে গত ২৬ জুলাই ২৬৫৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
গত একদিনে ভর্তি রোগীর মধ্যে ১৫৪৭ জনই ঢাকার বাইরের জেলায়, ঢাকায় ভর্তি হয়েছেন ১১৮৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের হাসপাতালে ভর্তি রোগী নিয়ে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৪৯ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে ৪১ হাজার ১৬০ জনই ভর্তি হন জুলাই মাসের ২৯ দিনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। তাদের নিয়ে এবছর মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪৭ জনে। এদের মধ্যে ২০০ জনের মৃত্যুই হয়েছে চলতি জুলাই মাসে।
বর্তমানে সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯ হাজার ৪১৮ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৫ হাজার ১৪৭ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৪ হাজার ২৭১ জন।
এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। জুন মাসে যেখানে ৫ হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, সেখানে ২৯ জুলাই পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে প্রায় ছয়গুণ হয়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুও বেড়েছে। গত মাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হলেও চলতি মাসের ২৯ দিনে প্রাণ গেছে ২০০ জনের।
মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন এবং জুনে ৫ হাজার ৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন এবং মে মাসে দুজন এবং জুনে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।
এ বছর এইডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ডেঙ্গু ভয়াবহ উঠতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তারা।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন।
এইডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে রেকর্ড ২৮১ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের।