চীনের সিনোফার্মের তৈরি আরও ১৭ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
Published : 10 Aug 2021, 10:20 PM
কোভ্যাক্সের আওতায় আসা এই টিকা নিয়ে বাংলাদেশে চীনা টিকার মজুদ ৯৮ লাখ ডোজে পৌঁছল।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ৭টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট টিকার নতুন চালান নিয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
এটিকা কোভ্যাক্স সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পেয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মাওলা বক্স বলেন, “টিকাগুলো গ্রহণের পর বেক্সিমকোর ওয়্যার হাউজে রাখা হয়েছে।”
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি বর্তমানে সিনোফার্মের টিকা নির্ভর হয়ে পড়েছে।
সিনোফার্মের সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা কিনতে ইতোমধ্যে চীনা কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। তার মধ্যে ৭০ লাখ ডোজ দেশে এসেছে। চীন থেকে উপহার হিসেবে এসেছে আরও ১১ লাখ ডোজ।
ডা. মাওলা বক্স বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী কয়েকদিন চীন থেকে টিকার আরও কয়েকটি চালান আসার কথা রয়েছে।
“পরশুদিন আসবে ৬১ হাজার ২০০ ডোজ, শুক্রবার চীনের উপহারের ১০ লাখ ডোজ, কেনা টিকার আরও ১০ লাখ ডোজ পরদিন আসবে। সব মিলিয়ে আগামী কয়েকদিনে ৫৪ লাখ ৬১ হাজার ২০০ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ।”
বাংলাদেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পর সিনোফার্মের টিকা কিনেছে। সেরাম ইন্সটিটিউটের টিকা বেক্সিমকোর মাধ্যমে কেনা হয়েছিল। সিনোফার্মের টিকা সরাসরিই কিনছে সরকার।
সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা টিকার ৭০ লাখ ডোজ আসার পর আর আসেনি। তখন ভারত সরকারের উপহার হিসেবে আরও ৩২ লাখ ডোজ পাওয়া গিয়েছিল।
বিশ্বে সবার জন্য টিকা নিশ্চিতের প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে সিনোফার্ম ছাড়াও মডার্না, ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকোর টিকা বিনামূল্যে পেয়েছে বাংলাদেশ।
এর মধ্যে মডার্নার ৫৫ লাখ ডোজ, ফাইজার-বায়োএনটেকের ১ লাখ ৬২০ ডোজ, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ডোজ এসেছে।