‘দ্য ক্রাউন’: ইতিহাস কি ঢেকে যাচ্ছে গল্পের আড়ালে?

তরুণ দর্শকরা মনে করছেন, নেটফ্লিক্স সিরিজটির মাধ্যমে তারা প্রাসাদের ইতিহাস জানছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণরা গল্পকেই সত্যি ভেবে মাথায় নিচ্ছেন।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2022, 03:18 AM
Updated : 13 Nov 2022, 03:18 AM

ইতিহাসকে আশ্রয় করে গল্প, উপন্যাস, নাটক, সিনেমা হয়ে আসছে সব সময়ই; আর তাতে ঘটনার সঙ্গে কল্পনার মিশেলও থাকছে। তারপরই ইতিহাস থাকছে ইতিহাসের স্থানে, আর গল্প গল্পের জায়গায়।  

কিন্তু নেটফ্লিক্সের সিরিজ ‘দ্য ক্রাউন’ উদ্বেগাকূল করছে অনেককেই; আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর গল্প দেখে রাজ পরিবার সম্পর্কে ভুল বার্তা পাবে তরুণ প্রজন্ম, যারা ওই সময়টায় আসল ঘটনা প্রত্যক্ষ করেনি।

তরুণ দর্শকরা মনে করছেন, নাটকটির মাধ্যমে তারা প্রাসাদের ইতিহাস জানছেন। বিশেষ করে তাদের আকর্ষণ প্রিন্সেস ডায়ানা। আবার রাজপরিবার বিশেষজ্ঞদের মূল শঙ্কাও ওই প্রিন্সেস ডায়ানা।

শেষ বেলায় এসে এই নাটকে ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাস ও রাজতন্ত্রের ঐতিহাসিক ‘সত্যতা’ কতটা ক্ষুণ্ন করেছে, তরুণ প্রজন্মের উপর তার প্রভাব কতটাই বা পড়েছে, তার উত্তর খুঁজেছে বিবিসি।

ব্রিটিশ রাজপরিবারকে নিয়ে নির্মিত ওয়েব সিরিজ ‘দ্য ক্রাউন’ ষষ্ঠ সিজন দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে এই মাসেই।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক ডেটা বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ‘ইউজিওভি’র একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ দর্শক মনে করেন, ‘দ্য ক্রাউন’র কাহিনী পুরোপুরি বাস্তব। যেখানে ষাটোর্ধদের ভাবনা অন্য রকম।

ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের গবেষক, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পওলিন ম্যাকলারানের ভাষ্য, “এই সিরিজের মাধ্যমে প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানা এবং তৎকালীন প্রিন্স চার্লসের সম্পর্কের টানপোড়েন প্রকাশ্যে এলে তা তরুণদের মধ্যে রাজপরিবারের প্রতি কোনো সহানুভূতি তৈরি করবে বলে মনে করছি না। কারণ দর্শকেরা ধরে নেবেন নানা ঘটনায় চার্লসের বিদ্বেষ বা ক্রোধ ডায়ানাকে মেনে নিতে হত।”

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবন কাহিনী, রাজত্ব, রাজত্ব পরিচালনায় নানা সংকটময় সময় তুলে ধরে ছয় বছর ধরে ‘দ্য ক্রাউন’ প্রচারিত হচ্ছে নেটফ্লিক্সে। বর্তমানে এর ষষ্ঠ সিজনের প্রযোজনা চলছে।

চতুর্থ সিজনে রাজা চার্লস ও ডায়ানার বিয়ে এবং তাদের সম্পর্কের জটিলতা দেখান হয়, যা সিজনটিকে করে তোলে আরও আলোচিত।

বিবিসি বলছে, ঐতিহাসিক ঘটনার উপর ভিত্তি করে সিরিজটি নির্মিত হলেও ‘দ্য ক্রাউন’র লেখক পিটার মরগ্যান শুরু থেকেই নিজের মতো করেই কাহিনী সাজিয়েছেন। কোথাও সত্যনিষ্ঠ থেকেছেন, কোথাও বা কাহিনী এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদে কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়েছে লেখককে। সব মিলিয়ে ‘দ্য ক্রাউন’ দাঁড়িয়ে যায় ফিকশনে।

তবে এই সিরিজ নিয়ে বাকিংহাম প্যালেস এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গল্পকে বাস্তব ধরে নেবে তরুণ প্রজন্ম?

রাজপরিবার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নব্বইয়ের দশকের প্রজন্ম যারা রাজতন্ত্রের ইতিহাস পুরোপুরি জানে না, তারা এই কাহিনীকেই সত্য ঘটনা বলে ধরে নিতে পারেন। অর্থাৎ এই সিরিজে ‘রাজতন্ত্র’কে যেভাবে দেখানো হয়েছে, তাতে প্রভাবিত হতে পারেন এই প্রজন্মের দর্শকেরা।

অধ্যাপক ম্যাকলারান বলছেন, “আমি মনে করি, নেটফ্লিক্সের এই সিরিজকে আধা-ডকুমেন্টারি হিসেবে ধরে নেওয়া উচিৎ।”

তার মতে, পরিবর্তিত সময়ে রাজপরিবারের সদস্যরা ইতোমধ্যেই খুব একটা জনপ্রিয় নন। তাই এ ধরনের ‘ফিকশন’ সিরিজ দেখে মানুষ বাস্তব ঘটনাকে হারিয়ে ফেলতে পারে।

এই বিশেষজ্ঞের মতে, এ ধরনের সিরিজ তৈরি হয় সমাজে মানুষের মধ্যে এক ধরনের বার্তা পৌঁছে দিতে। যে কাহিনীর মাধ্যমে সাধারণ দর্শকের সঙ্গে রাজপরিবারের মানুষগুলোর সংযোগ তৈরি হবে, সেই গল্পের ঐতিহাসিক নির্ভুলতা প্রয়োজন সবার আগে।

অধ্যাপক ম্যাকলারানের ধারণা, ‘দ্য ক্রাউনে’ নতুন প্রজন্মের কাছে ডায়ানা আবির্ভূত হবেন একজন ‘সাংস্কৃতিক আইকন’ হিসেবে।

তিনি মনে করেন, ডায়ানার রাজপরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যক্তিগত ও সাংসারিক সংগ্রাম, সাধারণের মধ্যে তার নাম ছড়িয়ে পড়া এবং মানবিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মনোযোগের মধ্য দিয়ে দর্শকদের ধরে রাখা হয়েছে এই সিরিজে।

যে মানুষটি পৃথিবীতেই নেই, তার জীবন গল্প তরুণদের মনে দারুণ দাগ কাটবে বলে মনে করেন এই অধ্যাপক, কারণ বিনোদনের এই মাধ্যম খুব শক্তিশালী।

Also Read: দ্য ক্রাউন: জন মেজরের ‘গাঁজাখুরি গপ্পো’ আখ্যার সাফাই নেটফ্লিক্সের

তিনি ‘দ্য ক্রাউন’র সঙ্গে ‘দ্য কুইন’ সিনেমার তুলনা টেনেছেন। রানির জীবদ্দশাতেই রাজপরিবার নিয়ে নির্মিত সিনেমা কুইন’র স্রষ্টাও পিটার মরগান।

ওই সিনেমায় দেখানো হয়, রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর ঘটনা কীভাবে রানির জীবনকেও আলোড়িত করে।

সেই সিনেমাটি রানিকে আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্রে মানবিক করে উপস্থাপন করেছিল বলে জানান ম্যাকলারান।

তার ভাষ্যে, “দ্য কুইন সিনেমায় রানি নিজ রূপে ও দর্শনে আবির্ভূত হয়েছিলেন। রানির পোশাকি চেহারার আড়ালের মানবিকতা ফুটে উঠেছে এই সিনেমায়, যা দর্শকেরা আগে কখনও দেখেননি।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তরুণ দর্শকদের কাছে ‘দ্য ক্রাউনের’ প্রভাব হবে আরও বেশ।

‘ইউজিওভি’র অক্টোবরের সমীক্ষা

  • ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ তরুণ বিশ্বাস করেন যে রাজতন্ত্র ব্রিটেনের জন্য ভালো। এই ধারণায় বিশ্বাসী ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ।

  • ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে শতকরা ৪৫ শতাংশ তরুণ মনে করেন, ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস দেশের জন্য ভালো হবেন। এই সংখ্যক তরুণদের সঙ্গে একমত ৪৩ শতাংশ মানুষ, যাদের বয়স ৬৫ এর উপরে।

রাজপরিবারের ইতিহাসবিদ এড ওয়েনস বিশ্বাস করেন, ‘দ্য ক্রাউন’ যে গল্প নিয়ে কাজ করছে, সেটি কেবল রাজতন্ত্র নয়, নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের উপরও এক সময় সংশয় তৈরি করবে।  

তিনি বলেন, “বর্তমানে সমাজ ও রাজনীতি কী ভূমিকা রাখছে, বিষয়টি নিয়ে তরুণ প্রজন্মের ভেতরে এমনিতেই হতাশা কাজ করে। রাজতন্ত্র এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে মূর্ত করে তোলে। কিন্তু এখন অনেকে রাজতন্ত্রকে একটি সেকেলে হিসেবে মনে করছে।”

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক হিদার জোনস বলেন, “আমি মনে করি, তরুণদের মধ্যে ‘দ্য ক্রাউন’ রাজতন্ত্রকে রহস্য ভাবার দিকটিই আরও শক্তিশালী করবে। ইতিহাসকে কল্পকাহিনী করে তুললে সমস্যা যেটা হয়, সেটা হল অল্পবয়সীরা প্রায়শই অনুমান করেন ঐতিহাসিক নাটকে যা তারা দেখছে, সবই বোধহয় বাস্তব।”

দ্য ক্রাউনের সমস্যা নিয়ে অধ্যাপক হিদান জোনসের ভা্ষ্য, “এই নাটকের অনেক চরিত্র এখনও জীবিত আছেন। এই সিরিজ অতীতকে কল্পনা করে লেখা ঠিক হয়নি। কারণ এখানে এমন সব মানুষের জীবনের নাটকীয় দিক তুলে ধরা হয়েছে, যারা বর্তমানেরও অংশ।”

তার মতে, ‘দ্য ক্রাউন’ যত এগুচ্ছে, তত বেশি সমস্যা তৈরি করছে। এটি নাটকীয় কল্পকাহিনী হতে পারে। কিন্তু এর ক্ষতিকর দিক ভাবিয়ে তুলছে। কারণ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু হয়েছে বেশিদিন হয়নি। তার স্মৃতি তার স্বজন ও দেশের মানুষের কাছে এখন তরতাজা।

জোনস বলেন, “সিংহাসন ও মুকুট খুব শক্তিশালী হয়ে ওঠে তখন, যখন নাটক-সিনেমায় এর তথ্যসত্যতা নিশ্চিত করা হয়। যখন এটি খুব নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়, এসবের ওজন হয় দুর্বল। ‘দ্য ক্রাউন’ এমন ঘটনা এ কাজটি করেছে।”

তরুণ দর্শকেরা কী বলছেন?

২৯ বছর বয়সী দর্শক লিনঝি করম্যাক বিবিসিকে বলেন, “যে সময় তুলে ধরা হয়েছে ‘দ্য ক্রাউনে’, আমি তখন ছিলামই না পৃথিবীতে। এই নাটকের মাধ্যমে রাজপরিবার সম্পর্কে চোখ খুলে গেছে।”

বয়সে তরুণ আরও একজনের ভাষ্য, “প্রাসাদের ভেতরে আসলে কী ঘটেছে, সেটি তুলে আনা হয়েছে পর্দায়। রানি এলিজাবেথের প্রতি সম্মান রেখেই তাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছেন নির্মাতা।

“যদি আমার সততা থাকে, তাহলে আমার বলতে দ্বিধা নেই, রাজপরিবার সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গী বদলে যাচ্ছে এই সিরিজটি দেখে। এবং আমি সঠিক এবং পূর্ণ ইতিহাস জানতে আগ্রহী।”

এক দর্শক বলেন, “রাজা চার্লস সম্পর্কে জানলাম। এবং তার সম্পর্কে ধারণাও পরিবর্তন হয়ে গেল। সঙ্গেও এটাও মনে করছি, ক্যামিলার কুইন অব কনসর্ট হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই।”

স্টকল্যান্ডের ২৫ বছর বয়য়ী এক যুবক জানান, তার ‘দ্য ক্রাউন’ দেখার ক্ষেত্রে তার একমাত্র আগ্রহ প্রিসেন্স ডায়ানা। কিন্তু তিনি এটাও মাথায় রেখেছেন যে এটি একটি ‘ফিউশন’ কাজ।

প্রথম তিনটি সিরিজ না দেখা এক দর্শক বিবিসিকে বলেন, ২০২০ সালে চতুর্থ সিরিজে যখন ডায়ানা হয়ে আসেন অভিনেত্রী এমা করিন, সে সময় থেকে তিনি ডায়ানার ভক্ত। তার কাছে মনে হয়েছিল, ডায়না পর্দায় ‘রাজবধূ’ হিসেবে নন, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই হাজির হয়েছিলেন।  

তবে চার্লসের প্রতি সহানুভূতিও ঝরেছে কারও কারও কণ্ঠে। এক তরুণী বলেন, “দ্য ক্রাউন আমাকে চার্লস ও ক্যামিলার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী বদলে দিয়েছে। আমি তাদের আগে কখনও পছন্দ করিনি। এখনও করছি না। কিন্তু সিরিজটি দেখে বুঝতে পেরেছি, চার্লসের আসলে ক্যামিলার সঙ্গে জীবন কাটানোই অবধারিত ছিল।”

২৯ বছর বয়সী টরি কুপার বলেন, “এই সিরিজে প্রচুর নাটকীয়তা আছে। নতুন তথ্যের সুনামিও ঘটেছে। কিন্তু নির্মাতা আমাকে পাঁচটি সিরিজ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছেন।”

তিনি জানান, চার্লস ও ক্যামিলার চেনাজানা যে চার্লস-ডায়ানার বিয়ের আগে এই সিরিজ না দেখলে তার জানা হত না। ক্যামিলার প্রতি চার্লসের ভালোবাসা নাটকে আবেগময়ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে মনে করেন এই দর্শক।

তবে কুপার বলেন. “আমি জানি এই নাটেকর গল্প শতভাগ সত্যি হতে পারে না। আমি নিশ্চিত, নির্মাণের ক্ষেত্রে অনেক স্বাধীনতা নিয়ে ফেলেছেন তারা।”

সত্যিকার প্রতিনিধিত্ব করছে ‘দ্য ক্রাউন’

যেহেতু ‘দ্য ক্রাউন’ ব্রিটিশ রাজপরিবারের কাহিনীর উপর নির্মিত কাল্পনিক ওয়েব সিরিজ, মানুষ যাতে বাস্তব মনে না করেন, তাই ব্রিটিশ সরকার নেটফ্লিক্সকে বিষয়টি পরিস্কারের জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।

নেটফ্লিক্স জানায় ‘বন্ধ দরজার পেছনে কী ঘটতে পারে, তা কল্পনা করে ‘দ্য ক্রাউন’কে এগিয়ে নেওয়া হয়েছে সিজনের পর সিজন ধরে।  

স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটি দাবি করছে, ‘দ্য ক্রাউন’ সিরিজ রাজপরিবারের কয়েক দশককে ‘সত্যিকারভাবে’ প্রতিনিধিত্ব করছে। এই নাটকের গল্প ইতোমধ্যে বিভিন্ন সাংবাদিক, জীবনীকার ও ইতিহাসবিদদের মাধ্যমে যাচাইও করা হয়েছে। তদের কাছ থেকে পাওয়া নথিপত্রের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে এই নাটক।

নেটফ্লিক্সের ভাষ্য, “দ্য ক্রাউন সবসময় ঐতিহাসিক ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি নাটক।”

নেটফ্লিক্সে ‘দ্য ক্রাউন’ সিরিজ প্রথম মুক্তি পায় ২০১৬ সালে। প্রতি সিজনে ১০টি করে পর্ব দেখা গেছে।

সিরিজটি প্রচারের পর পেয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা, নানা কারণে সমালোচিতও হয়েছে। সিরিজে বিভিন্ন বয়সী এলিজাবেথের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্লেয়ার ফয়, অলিভিয়া কোলম্যান ও ইমেলডা স্টনটন।

আর প্রিসেন্স ডায়ানার চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছিলেন এমা করিন। এছাড়াও ক্রিস্টেন স্টুয়াট, এলিজাবেথ ডেবিকিসহ আরও কয়েক অভিনেত্রী ডায়ানা হওয়ার সুযোগ পান। ষষ্ঠ সিজনেও থাকছেন এলিজাবেথ ডেবিকি, আর চার্লসের ভূমিকায় আসছেন ডেমিনিক ওয়েস্ট।

কিছুদিন আগে ষষ্ঠ সিজনের ট্রেইলার প্রকাশ করে নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, নভেম্বরেই এর মুক্তি। চতুর্থ ও পঞ্চম সিরিজের কাহিনীর টানটান গতিপ্রকৃতির পর মুখিয়ে ছিলেন দর্শকেরা পরবর্তী সিজনের জন্য। শিগগিরই সেই অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে বলেও ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি তাদের বিবৃতিতে জানায়।

নেটফ্লিক্স এটাও জানিয়ে রেখেছে,  ষষ্ঠ সিজনই হচ্ছে ‘দ্য ক্রাউন’র শেষ কিস্তি।