জাপানের উৎসবে ‘খোয়াব’

‘খোয়াব ’সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে ১৩ জুন সন্ধ্যায়। উৎসবে অংশ নিতে জাপানে যাবেন সিনেমার পরিচালক হেমন্ত সাদিক ও প্রধান অভিনেত্রী লিজা আসমা আক্তার।

‘খোয়াব’সিনেমার দৃশ্য

জামদানি তাঁতির সংগ্রামকে উপজীব্য করে হেমন্ত সাদীক নির্মাণ করেছেন ‘খোয়াব: ক্যাসেল ইন দ্য এয়ার’। স্বল্পদৈর্ঘ্য এই চলচ্চিত্রটি জাপানের ‘শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অ্যান্ড এশিয়া ২০২৪’-এ আমন্ত্রিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের ২০০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশের এই সিনেমাটিও।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর দেওয়া হয়। আগামী ৪ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত জাপানের টোকিও শহরে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে লাইভ-অ্যাকশন এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন বিভাগে সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে। ‘খোয়াব’ সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে ১৩ জুন সন্ধ্যায়। উৎসবে অংশগ্রহণ করতে জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন সিনেমার পরিচালক হেমন্ত সাদিক ও প্রযোজক ও প্রধান অভিনেত্রী লিজা আসমা আক্তার।

ড্রিম শ্যাডোর ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটির গল্প লিখেছেন লিজা আসমা আক্তার। চিত্রনাট্য করেছেন শাওন কৈরি।

সিনেমার গল্পে আবর্তিত হয়েছে কাঞ্চন নামের একজন গ্রামের তাঁতিকে নিয়ে। পূর্বপুরুষের স্মৃতি ধরে রাখতে তিনি হস্তচালিত তাঁত রাখতে চান। কারণ হস্তচালিত তাঁত তাদের কাছে আবেগের নাম। গল্পে তার স্ত্রী আশা তাঁতটি বিক্রি করে দিতে বললেও তিনি প্রথমে রাজি ছিলেন না। কিন্তু উৎপাদন বাড়াতে তিনি একসময় পাওয়ারলুমে যাওয়ার চিন্তা করেন। এক্ষেত্রে আশার যুক্তি ছিল অধিক পরিমাণ শাড়ি উৎপাদন করতে হলে তা শুধু পাওয়ারলুমে যেতে হবে। কিন্তু স্বপ্নে কাঞ্চনের পূর্বপুরুষরা তাকে তাঁতটি বিক্রি করেতে মানা করেন। এদিকে কাঞ্চন তার স্ত্রীর জন্য একটি লাল জামদানি বুনেন। সেটিও নিজের কাছে রাখতে পারেন না মহাজনদের কারণে। কাঞ্চন বিভ্রান্তির মুখোমুখি হন। তিনি আবার স্বপ্ন দেখেন, পরের পূজায় আবার স্ত্রীর জন্য লাল জামদানি তৈরি করার। এভাবেই গল্প এগোয়।

২৫ মিনিটের দৈর্ঘ্যের এই সিনেমাতে তাঁতি দম্পতির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার ও লিজা আসমা আক্তার।