দত্তক নিয়ে মেয়ের মা হলেন পরীমনি

ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনির পাশে এখন কেবল আর তার ছেলে নয়, আছে মেয়েও। দিনের ব্যস্ততা শেষে দুই ছেলেমেয়েকে যখন এই নায়িকা পাশে পান, তখন তার নিজের আকাশটা অনেক বড় বলে মনে হয়।

পরীমনির জীবনের নতুন খবর হল কন্যা সন্তান দত্তক নিয়েছেন তিনি।

কলকাতার বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারকে তিনি বলেন, “আমার মেয়ে এল ঘরে। আমার মেয়ে, সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম। এই নামেই বিশ্ব চিনবে ওকে। ছেলের পরে মেয়ে! কী যে আনন্দ! পৃথিবীতে আসার ছদিন হল ওর। আমার ঘরে ছেলের পাশে আলো হয়ে আছে।

“আমি ওকে দত্তক নিয়েছি। নিয়ম মেনে সই করার সময় মনে হল আল্লাহ আবার আমার জন্য কিছু করলেন। জীবনে কোনও দিন কিছু নিয়ম অনুযায়ী বা পরিকল্পনা করে করিনি আমি। তাই আল্লাহ আমার জন্য যা যা চেয়েছেন তাই মাথা পেতে নিয়েছি। ও পরীর মতোই আমার কোলে চলে এল। কোলে যখন নিই, মনে হয় আমার নাভি কেটেই ও এসেছে। ওর ছবি এখন দিচ্ছি না। কেউ রাগ করবেন না! মা তো...আর কিছু দিন যাক।”

অভিনেতা শরীফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ছেলেকে নিয়ে সংসার একাই সামলাচ্ছেন পরীমনি। তাই সিনেমার কাজ একটানা করা সম্ভব হয়ে উঠছে না তার পক্ষে। ঘরে মেয়ে আসার পর নায়িকা ভাবছেন অন্য কথা।

তিনি বলেন, “ছেলে আসার পর থেকে বাড়ি ও বাইরের সব দায়িত্ব নিজে সামলাচ্ছি। কী করে যে পারি! ছবির কাজ একটানা করতে পারছি না। কিন্তু আমাকে তো এবার আরও কাজ করতে হবে, ছেলে আর মেয়ের জন্য। এখন আরও বেশি করে কাজে মন দেব। এমন কাজ করতে চাই যাতে আমার ছেলে আর মেয়ে যেন তাদের মাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে।”

মায়ের দায়িত্ব সামলানোর কাজে পিছপা নন বলে জানালেন পরীমিনি।

“আমি যা মন থেকে চাই তাই করি। কে কী বলল সেসব নিয়ে কোনোদিন ভাবিনি। কে বলেছে বাবা ছাড়া সন্তান মানুষ করা যায় না? কে বলেছে জন্ম দেওয়া বাবা-মা ছাড়া সন্তান মানুষ হয় না? এসব নিয়ম সমাজের তৈরি। এই তো আর কয়েক দিনের মধ্যেই মাতৃ দিবস নিয়ে হইচই হবে। কিন্তু সেখানেও তো পিতৃতন্ত্রের আদলে তৈরি করা মেয়েদের জয়গান।

“এসব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে কাজ আর সন্তানদের নিয়ে বাঁচব আমি। এখন রাতের দিকে সব শান্ত হয়ে আসার পরে একদিকে ছেলে আর একদিকে ঘুমন্ত মেয়ের মাঝে যখন চোখ খুলে দেখি, তখন মনে হয় পরীমনির আকাশটা বড় হয়ে আসছে।”

পরীমনির এখনকার ব্যস্ততা নির্মাতা অনম বিশ্বাসের পরিচালনায় 'রঙ্গিলা কিতাব' নিয়ে। এরপর ‘প্রীতিলতা’র কাজ ধরবেন।