ছোটপর্দার মতো বড় পর্দাতে এখনও ঠিক মানিয়ে নিতে পারেননি অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও এই অভিনেতার দাবি, ঢাকাই সিনেমার শিল্পীদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে।
Published : 12 Jul 2014, 06:34 PM
গ্লিটজের সঙ্গে আলাপচারিতায় মিলন বলেন, “সিনেমাতে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা সত্যিই কম। সবাই যে যার ব্যক্তিগত পারফরমেন্সে বিশ্বাসী। চরিত্র নিয়ে পারস্পরিক আলোচনার যেন কোনো প্রয়োজন নেই।”
তাই বলে বাংলা সিনেমা নিয়ে এখনই হাল ছেড়ে দিতে নারাজ তিনি।
“বাংলা চলচ্চিত্রে পরিবর্তন অবশ্যই সম্ভব। সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা করা লোকজন যখন ইন্ডাস্ট্রিতে আসবে, তখন আরও অনেক ভালো সিনেমা নির্মিত হবে। আবারও হলমুখী হবে বাঙালি দর্শক।”
এর আগে গ্লিটজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিলন বলেছিলেন, “সিনেমার ব্যাপারে বেশ উৎসাহী আমি। কিন্তু টিভিকে অগ্রাহ্য করতে পারব না। টিভির কারণেই আজকের এ অবস্থানে এসেছি। এখন কোন মাধ্যমে স্থায়ী হব, সেটাই বুঝতে পারছি না।”
আর সেই মিলন এখন বলছেন, যে কোনো মুহূর্তে নাটককে বিদায় বলতে হতে পারে।
“আমার কাছে অভিনয় ব্যাপারটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে। ভীষণ ভালো লাগা থেকে আমি চলচ্চিত্রে অভিনয় করি। চলচ্চিত্রের কারণে সময় বের করতে পারি না। হয়ত নাটক ছেড়ে দিতে হতে পারে।”
মিলন জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
মিলন এখন দুটি নতুন সিনেমার শুটিং করছেন। সিনেমা দুটি হল অনন্য মামুনের ‘ফ্রেন্ডশিপ’ এবং সাইফ চন্দনের ‘টার্গেট’। ‘ফ্রেন্ডশিপ’ সিনেমাতে ববি, মৌসুমী হামিদ এবং ‘টার্গেট’ সিনেমাতে আইরিনের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন তিনি।
মিলন জানালেন, এরই মধ্যে চারটি সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন। সিনেমাগুলো হল ‘ওয়ান ওয়ে’, ‘ভালোবাসা সীমাহীন’, ‘প্রেম করব তোমার সাথে’, ‘অনেক সাধের ময়না’।
প্রতিটি সিনেমাতে দর্শক ভিন্ন মিলনকে দেখতে পাবে বলে মনে করেন তিনি।
মাত্র ১২ বছর বয়সে আর্তনাদ থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন মিলন। এরপর সালাউদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক ‘রঙের মানুষ’ এ অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি।
২০০৫ সালে কোহিনূর আক্তার সুচন্দা পরিচালিত ‘হাজার বছর ধরে’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। এর সাত বছর পর ইফতেখার চৌধুরীর ‘দেহরক্ষী’ সিনেমার মাধ্যমে পুরোদস্তুর সিনেমার নায়ক হয়ে ওঠেন তিনি।