ফুসফুসে ক্যান্সার আক্রান্ত কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দের অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
Published : 16 Jul 2016, 09:42 PM
শিল্পীর মেয়ে মাম্মিন্তি শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আব্বার অবস্থা ভালো না। তাই আব্বাকে গতকাল সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতাল থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
গত বছর ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর লাকী আখন্দ বেশ কিছুদিন বারডেম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে জানান তার মেয়ে।
শুক্রবার কিংবদন্তি এই শিল্পীকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলেও হাসপাতালটির ঠিক কোথায় তিনি আছেন- সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তার মেয়ে।
এর আগে গত বছর গুরুতর অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন লাকী আখন্দ। তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়েছে।
এরপর ঢাকা থেকে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসায় পাঁচ লাখ টাকা অর্থ সহায়তাও দেন।
আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দ একাধারে সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকারও। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে প্রথমবারের মতো একক অ্যালবাম বের করেন ‘লাকী আখন্দ’।
ওই অ্যালবামের এই নীল মণিহার, আমায় ডেকো না, রীতিনীতি জানি না, মামনিয়া, আগে যদি জানতাম, সুমনা’র মতো গান তখন শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
১৯৮৭ সালে ছোট ভাই ‘হ্যাপী আখন্দের’ মৃত্যুর পরপর সঙ্গীতাঙ্গন থেকে অনেকটাই স্বেচ্ছায় নির্বাসন নেন এই গুণী শিল্পী।
মাঝখানে প্রায় এক দশক নীরব থেকে লাকী আখন্দ ১৯৯৮-এ ‘পরিচয় কবে হবে’ ও ‘বিতৃষ্ণা জীবনে আমার’ অ্যালবাম দুটি নিয়ে আবারও ফিরে আসেন শ্রোতাদের মাঝে।
এরপর টেলিভিশনের লাইভ প্রোগ্রামে তাকে দেখা গেছে; মেয়ে মাম্মিন্তিকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার উত্তরসূরী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন দর্শকদের সঙ্গে।