ফুসফুসের সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থ সংগীতশিল্পী লাকী আখন্দ সাফ জানিয়ে দিলেন, চিকিৎসার জন্য কারও কাছে সাহায্য চাইবেন না। এমনকি তার চিকিৎসার জন্য কোনো কনসার্ট বা তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রমও যেন না হয়, সেজন্য ভক্ত ও সহকর্মীদের অনুরোধ করেছেন তিনি।
Published : 08 Sep 2015, 03:52 PM
বর্ষীয়ান এই সুরকার ও গায়ক এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মিশকাত ও ডা. ইউনুসের তত্ত্বাবধানে আছেন তিনি।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই গ্লিটজের সঙ্গে কথা হয় লাকী আখন্দের।
তিনি বলেন, “আমি কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই ‘কবিতা পড়ার প্রহর’, ‘এখানে বসন্ত তোমার’ গানগুলো তৈরি করেছিলাম। আমার গানগুলো এখন অনেকেই গাইছেন। টিভি চ্যানেল, এফএম রেডিওতে আমার গানগুলো গাইছেন অনেক শিল্পীরা। তারা আমাকে সেই গানগুলোর মেধাস্বত্ত্ব দিক। মেধাস্বত্ত্ব বাবদই তো আমরা অনেক টাকা পাই। চিকিৎসার জন্য আমি কারও কাছে হাত পাতবো না।”
মঙ্গলবার সকালে তাকে দেখতে এসেছিলেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। সাগর গ্লিটজকে বললেন, “লাকী সুস্থ হওয়ার ব্যাপারে অনেক আশাবাদী। সে বলছে, গান নিয়ে তার অনেক পরিকল্পনা আছে। নতুন গান নাকি তৈরি করেছেন তিনি। ফিরে এসে আবারো সাড়া জাগাবেন।”
লাকীর মেয়ে মাম-মিন্তি বললেন, “বাবার ছোটবেলা থেকেই কাশির সমস্যা। একইসঙ্গে বাবার ফুসফুস ও হার্টে পানি জমেছে। এখন পানি অপসারণ করা হচ্ছে।”
তিনি আরো জানালেন, গত দু মাস ধরেই লাকী পেটে ব্যথার কথা বলছিলেন। চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধও খেয়েছিলেন। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গেল ১ সেপ্টেম্বর তিনি বিএসএমএমইউর চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হন।
এদিকে লাকী আখন্দকে দেখতে গানের মানুষরা ভিড় করতে শুরু করেছেন হাসপাতালে। মঙ্গলবার দুপুরে এসেছিলেন কুমার বিশ্বজিৎ, শওকত আলী ইমন, কবির বকুল।
সুরকার, গীতিকার ও গায়ক লাকী আখন্দের প্রথম একক অ্যালবাম ‘লাকী আখন্দ’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৪ সালে। সেই অ্যালবামের ‘এই নীল মণিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘মামনিয়া’, ‘আগে যদি জানতাম’ গানগুলো ভীষণ জনপ্রিয় হয়। তার লেখা অন্য জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘কে বাঁশী বাজায় রে’।
ছবি-- গীতিকার আসিফ ইকবালের সৌজন্যে