সুপারহিরোদের একপাশে সরিয়ে রেখে ২০১৫ সালে হলিউডের বক্স-অফিসে রাজত্ব করেছে ডায়নোসর এবং ভিনগ্রহবাসীরাএরই মাঝে জায়গা করে নিয়েছেঅ্যানিমেশন এবং অ্যাকশন ঘরানার সিনেমাগুলো। এক নজরে দেখে নেয়াযাক মার্কিন বক্সঅফিস মাতানো শীর্ষ দশ সিনেমার ঝলক:
Published : 30 Dec 2015, 08:05 PM
জুরাসিক পার্কের ডায়নোসররা পর্দায় ফিরেই দুনিয়া কাঁপিয়েছে এ বছর। চলতি বছরের গ্রীষ্মে মুক্তি পায় ‘জুরাসিক পার্ক’ সিরিজের সর্বশেষ সংযোজন ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’।
ইউনিভার্সাল পিকচার্সের ব্যানারে তৈরি সিনেমাটির যুক্তরাষ্ট্রে মোট আয় ৬৫ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলারবছর শেষে তুমুল হইচই ফেলে মুক্তি পেয়েও কেভিন ট্রেভরো পরিচালিত ‘জুরাসিক ওয়াল্ডর্'কে হারাতে পারেনি সাই-ফাই ‘স্টার ওয়ার্স: দ্য ফোর্স অ্যাওয়েইকেন্স’। শীর্ষস্থানটি এখনও আছে ডায়নোসরদের দখলেই।
তুমুল প্রচারণা এবং বহুল প্রতীক্ষার পর বছরের শেষে পর্দায় ধরা দিয়েছে ‘স্টার ওয়ার্স: দ্য ফোর্স অ্যাওয়েইকেন্স’। সিনেমাটিকে নিয়েপ্রত্যাশার পারদ চড়াই ছিল।তবে প্রত্যাশার চেয়েও অনেক ভালো ব্যবসা করছে ‘স্টার ওয়ার্স’- এর এই নতুন কিস্তি।
১৪ ডিসেম্বর লস এঞ্জেলেসে মুক্তির চারদিন পর যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী মুক্তি পায় সিনেমাটি। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্রে সিনেমাটির আয় হয়েছে ৫৭ কোটি লাখ হাজার
সুপারহিরোরা যদিও এ বছর মনোযোগ কাড়ার তেমন সুযোগ পাননি। কিন্তু নিজেদের মারভেলের সুপারহিরোরাচলতি বছর অ্যাভেঞ্জাসর্রা ফিরেছেন ‘এইজ অফ আলট্রন’ নিয়ে।
গরমের মৌসুমে ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’-এর সঙ্গে সুপারহিরোদের চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ‘এইজ অফ আলট্রন’ যুক্তরাষ্ট্রে সংগ্রহ করেছে ৪৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। জশ হোয়েডন পরিচালিত এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, স্কারলেট জোহানসন, ক্রিস হেমসওয়ার্থসহ আরো অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলারের কিছু বেশি আয় নিয়ে অ্যানিমেশন সিনেমা ‘ইনসাইড আউট’ আছে তালিকার চতুর্থ স্থানে। ওয়াল্ট ডিজনি এবং পিক্সারের ব্যানারে কমেডি-ড্রামা-অ্যাডভেঞ্চার ধাঁচের এই সিনেমাটি অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই বক্স-অফিসে বাজিমাত করে। ‘ইন্সাইড আউট’ পরিচালনা করেছেন ছয়বার অস্কার মনোনয়ন পাওয়া মার্কিন নির্মাতা পিটে ডকটার।
‘ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস’ সিরিজের সপ্তম সিনেমা ‘ফিউরিয়াস সেভেন’ আছে এই তালিকার পঞ্চম অবস্থানে। অভিনেতা পল ওয়াকারের অকাল মৃত্যুর পর ‘ফিউরিয়াস সেভেন’এর মাধ্যমে অশ্রুস্নাত চোখে তাকে পর্দা থেকে চিরবিদায় দিয়েছে দর্শক। সমালোচকরা তুষ্ট হতে পারেননি যদিও, কিন্তু পলের প্রতি ভালোবাসা থেকেই প্রেক্ষাগৃহে ছুটে গেছেন ভক্তরা।
‘ফাস্ট’ সিরিজের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা বলা হচ্ছে এটিকে। পল ওয়াকার ছাড়াও এতে দেখা গেছে ভিন ডিজেল এবং ডোয়েইন জনসনকে।সিনেমাটি যুক্তরাষ্ট্রে আয় করেছে ৩৫ কোটি ৩ লাখ ডলার।
অ্যানিমেটেড মুভি ‘ডেস্পিকেবল মি’ এবং ‘ডেস্পিকেবল মি টু’র জনপ্রিয় চরিত্র মিনিয়নদের নিয়ে ইউনিভার্সাল পিকচার্স এবং ইল্যুমিনেশন এন্টারটেইনমেন্টের নির্মিত ‘মিনিয়ন্স’ আছে এই তালিকার ষষ্ঠ স্থানে। ‘ডেস্পিকেবল মি’ সিরিজের প্রিকুয়াল এই সিনেমায় দেখা যায় কিভাবে কেভিন, স্টুয়ার্ট এবং বব খুঁজে পায় তাদের মালিক গ্রুকে।
যদিও সমালোচকরা মিনিয়নদের এই সিনেমায় খুঁজে পাননি কোনো নতুনত্ব,কিন্তু দর্শকের মত ছিল অনেকটাই ভিন্ন। সিনেমাটি যুক্তরাষ্ট্রে আয় করেছে ৩৩ কোটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার ডলার।
সাই-ফাই ডিস্টোপিয়ান সিরিজ 'হাঙ্গার গেইমস'-এর শেষ কিস্তি‘মকিংজে-পার্ট টু’ নিয়ে প্রত্যাশা আরো বেশি ছিল বানিজ্য বিশ্লেষকদের। কিন্তু এই সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব ‘ক্যাচিং ফায়ার’-এর চেয়েও কম ব্যবসা করেছে সিনেমাটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ কোটি ৫৬ লাখ ৮৫ হাজার ডলার আয় করে সিনেমাটি আছে সপ্তম অবস্থানে।
তালিকার অষ্টম অবস্থানে আছে টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের ‘দ্য মার্শান’। রিডলি স্কটের পরিচালনায় এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ম্যাট ডেমন।
এখানে ডেমনকে এক মহাকাশচারীর ভূমিকায় দেখা গেছে, যাকে মৃত ভেবে তার সঙ্গীরা মঙ্গল গ্রহে ফেলে আসে। মঙ্গল থেকে তার পৃথিবীতে ফিরে আসার রোমাঞ্চকর গল্প নিয়েই তৈরী হয়েছে সিনেমাটি। ‘দ্য মার্শান’ আয় করেছে ২২ কোটি ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ডলার।
রূপকথার রাজকুমারি সিন্ডারেলাকে প্রায় ৭০ বছর পর আবারও রক্তমাংসের মানবী রূপে পর্দায় এনেছেন পরিচালক কেনেথ ব্রানাহ। বরাবরই অ্যানিমেশনে দেখার পর এবার জলজ্যান্ত সিন্ডারেলাকে দেখার জন্য প্রেক্ষাগৃহে উপচে পড়েছে দর্শক।
গরমের শুরুতে মুক্তি পেয়ে ‘সিন্ডারেলা’ আয় করেছে ২০ কোটি ১১ লাখ ৫১ হাজার ডলার।
জনপ্রিয় অ্যাকশন-থ্রিলার সিরিজ ‘মিশন ইম্পসিবল’-এর সর্বশেষ সিনেমা ‘মিশন ইম্পসিবল: রৌগ নেইশন’ মুক্তির পর আয় করেছে ১৯ কোটি ৫০ লাখ ৪২ হাজার মার্কিন ডলার।
ক্রিস ম্যাককারির রচনা ও পরিচালনায় এবারের পর্বে টম ক্রুজকে লড়তে দেখা গেছে রৌগ নেইশন নামের এক সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরূদ্ধে। সিনেমায় টম ক্রুজের সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন জেরেমি রেনার, সায়মন পেগ এবং রেবেকা ফার্গুসন।