দর্শকদের সিনেমাটি হলে গিয়ে দেখার অনুরোধও জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
Published : 29 Dec 2024, 09:11 PM
দুদিন আগে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান অভিনীত মুক্তিযুদ্ধের গল্পনির্ভর সিনেমা ‘নকশী কাঁথার জমিন’।
কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ‘বিধবাদের কথা’ গল্প অবলম্বনে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা সিনেমায় তুলে এনেছেন নির্মাতা আকরাম খান।
গল্প,নির্মাণ, অভিনয়শিল্পীদের অভিনয় সব মিলিয়ে মুক্তির পর থেকেই দর্শক সমালোচকের প্রশংসা পাচ্ছেন নির্মাতা।
এবার এই সিনেমাটি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
সিনেমাটি নির্মাণের প্রশংসা করে ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “সংলাপ খুবই কম। ৭১-এর ঘোর বর্ষণে অনাবিল দৃশ্যাবলীর পাশাপাশি যুদ্ধ এবং নৃশংসতা। অসাধারণ ক্যামেরার কাজ। জয়া এবং সেঁওতীসহ সবার অভিনয় এবং দৃশ্যবিন্যাসও দারুণ। চিত্রনাট্যে কি আরও কাজ করার সুযোগ ছিল? কেন এরকম নৃশংস হয়ে গেল ছেলেটা? দুই নারীর দুর্বল জীবনের সবই যায়, শূন্যতার মধ্যে বেঁচে থাকে নকশি কাঁথার জীবন!”
দর্শকদের সিনেমাটি হলে গিয়ে দেখার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।
আনু মুহাম্মদের পোস্টটি শেয়ার করে নির্মাতা আকরাম খান লিখেছেন, “আনু ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ নকশি কাঁথার জমিন নিয়ে লিখে আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য।”
আনু মুহাম্মদের পোস্টটি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী জয়া আহসানও।
শুক্রবার থেকে দেশের ছয়টি মাল্টিপ্লেক্সে দেখা যাচ্ছে সিনেমাটি। স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি মল, সীমান্ত সম্ভার, সনি স্কয়ার ও বালি আর্কেডে সিনেমাটি দেখানো হচ্ছে।
এছাড়াও সিনেমাটি চলছে লায়ন সিনেমাস ও নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপে।
সিনেমার গল্প নিয়ে পরিচালক আকরাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটের গল্প। দুই বোন রাহেলা ও সালেহার গল্প। যুদ্ধের সময় তাদের পরিবারের মধ্যে একটা বিভক্তি তৈরি হয়। নিজেদের বাড়ির মধ্যেই যুদ্ধটা যেন চলতে থাকে। যুদ্ধের পর তারা দেখতে পায় মুক্তির সংগ্রামে তাদের জীবনের সবই হারিয়ে গিয়েছে। পরে তারা নকশি কাঁথার মধ্যে তাদের জীবনের সংগ্রামের আখ্যানটা নকশায় ফুটিয়ে তোলেন।
এতে দুই বোনের চরিত্রে জয়া আহসান ও ফারিহা শামস সেঁওতি কাজ করেছেন; দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের ও রওনক হাসান।
গুরুত্বপূর্ণ আরও দুই চরিত্রে আছেন দুই ভাই দিব্য জ্যোতি ও সৌম্য জ্যোতি।
‘নকশী কাঁথার জমিন’ এর আগে ভারতের বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে।
এছাড়া ৫৩তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ায় (আইএফএফআই) আইসিএফটি-ইউনেসকো গান্ধী মেডেলের জন্য মনোনীত হয়েছিল সিনেমাটি।
আরও পড়ুন:
মু্ক্তিযুদ্ধের কথা বলবে 'নকশী কাঁথার জমিন'