'বনলতা সেন' সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ শেষে মুক্তির প্রস্তুতি চলছে।
Published : 17 Apr 2025, 06:46 PM
‘আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন, আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন-’ রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের কিংবদন্তী চরিত্র বনলতা সেনকে চলচ্চিত্রের পর্দায় নিয়ে আসছেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল।
'বনলতা সেন' সিনেমাটির দৃশ্যধারণের কাজ শেষে মুক্তির প্রস্তুতি চলছে। জীবনানন্দের কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মৌলিক গল্পের এই সিনেমার গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পরিচালক নিজেই।
উজ্জ্বল গ্লিটজকে বলেছেন তিনি সিনেমাটি বানাচ্ছেন অনেক সময় নিয়ে। আর জীবনানন্দ দাশের চরিত্রটি করেছেন অভিনেতা খায়রুল বাসার।
“গেল বছর থেকেই সিনেমাটি প্রস্তুত। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে সবকিছু স্থবির হয়ে যাওয়ায় আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। মুক্তির জন্য একটি উপযুক্ত সময় খুঁজছিলাম। এখন যেহেতু মানুষ সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখছে তাই শিগগিরই মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।"
কবিতা থেকে সিনেমা নির্মাণের উদ্দেশ্য জানিয়ে এই পরিচালক বলেন, "আমার সব কাজে শিল্পচর্চার একটা প্রভাব আছে। জীবনানন্দ দাশ যত বড় মাপের কবি তাকে নিয়ে কিন্তু দুই বাংলায় তেমন কাজ হয়নি। আগে যেরকম শিল্প সাহিত্য নিয়ে কাজ হত এখন সেটাও কমে গিয়েছে।”
কবিকে শ্রদ্ধা জানাতেই কেবল সিনেমাটি বানাতে হাত দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক উজ্জ্বল।
তার কথায়, “যদি এই সিনেমাটি বাংলা চলচ্চিত্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র হয়ে উঠার যোগ্যতা অর্জন করে থাকে তাহলেই সার্থক হব।"
সিনেমার গল্প নিয়ে উজ্জ্বল বলেছেন এটা মৌলিক গল্প, যা কবিতার অন্বেষণ নিয়ে। কাব্যের মূল সুরকে ঠিক রেখে এক অন্বেষনের গল্প বলবে সিনেমাটি।
উজ্জ্বলের ভাষ্য, “বনলতা সেনকে কেউ দেখেনি৷ বাংলা ভাষায় সর্বাধিক পঠিত কবিতা এটি। এই চরিত্রটাই যেন একটা মিথ রয়ে গিয়েছে। বনলতা সেনকে দেখার জন্য আমাদের ব্যক্তিগত যেই বাসনা সেটা নিয়েই এই গল্প।"
সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাসুমা রহমান নাবিলা, খায়রুল বাসার, সোহেল মণ্ডল, নাজিবা বাশার, প্রিয়ন্তী উর্বী, রুপন্তী আকীদ, শরিফ সিরাজ, সুমাইয়া খুশিসহ অনেকে।
অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে উজ্জ্বল বলেন, “বাংলা চলচ্চিত্রে নায়ক নায়িকার যে কনসেপ্ট তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এটি। এই সিনেমায় পাঁচজন অভিনেত্রী রয়েছে। আর সোহেল মণ্ডলকে দর্শক হলে গিয়েই আবিষ্কার করুক আমার সেটাই চাওয়া।”
পরিচালকের কথায় প্রত্যেকে ‘দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন’।
জীবনানন্দ দাশের চরিত্রটি নিয়ে খায়রুল বাসার বলেছেন এমন একটি চরিত্রে কাজ করা তার জন্য ‘সৌভাগ্যের এবং চ্যালেঞ্জিংও’।