Published : 03 Feb 2025, 07:12 PM
নিজের কণ্ঠে নিজের জীবন কাহিনী বর্ণনা, সহজ কাজ তো নয়ই। কিন্তু সেই কাজ অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। ‘লাস্ট সানডেস ইন প্লেনস: আ সেন্টিনিয়াল সেলিব্রেশন' শিরোনামের ওই জীবন কাহিনীতে কণ্ঠদানের জন্য অডিও বুক, ন্যারেশন অ্যান্ড স্টোরিটেলিং রেকর্ডিং বিভাগে মরণোত্তর গ্র্যামি জিতেছেন জিমি কার্টার; যিনি এই ধরণী ছেড়েছেন এক মাস আগে।
দ্য হলিউড রিপোর্টার লিখেছে, লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টোডটকম অ্যারিনায় যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় ৬৭ তম গ্র্যামির জমকালো ওই আসরে যখন কার্টারের নাম ঘোষণা করা হয়, তখন দর্শক সারিতে বসে থাকা কার্টারের নাতি জ্যাসন কার্টার আপ্লুত হয়ে পড়েন।
শতবছরের জীবন পার করে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট, শান্তিতে নোবেলজয়ী কার্টারের কথন রেকর্ড করা হয়েছিল ২০২৪ সালের আগস্টে।
কার্টারের অডিওবুক ন্যারেশনের ওই কর্মযজ্ঞকে শ্রদ্ধা জানানো হল গ্র্যামির মঞ্চে।
দাদুর পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠেন জ্যাসন কার্টার। দাদুকে নিয়ে নাতির আবেগঘন কথায় দর্শক সারি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে কিছু সময়ের জন্য।
জ্যাসন বলেন, “তিনি আমার জীবনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ভালোবাসার মানুষ। তার রেকর্ডিং নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অনেকে অনেক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যারা এই আসরে উপস্থিত আছেন।
“আমাদের পরিবার দাদুর কণ্ঠস্বর ধরে রাখার জন্য রেকর্ডিং করেছিল। তবে এই মঞ্চে দাদুর কাজটি বিশ্বজনীন হয়ে গেল, তা আজীবন আমাদের মনে থাকবে।”
কার্টারের ‘লাস্ট সানডেস ইন প্লেনস: আ সেন্টিনিয়াল সেলিব্রেশন রেকর্ডিংয়ে যন্ত্রানুসঙ্গ পরিচালনায় ছিলেন কবীর সেহগল। তাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জ্যাসন।
তিনি বলেন, “কবীর আমাদের পরিবারেরই একজন, দীর্ঘদিন ধরে খুব ঘনিষ্ঠ। তাই এতটা ভালোভাবে দাদুর সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।”
এছাড়া রেকর্ডিংয়ের অন্যান্য শিল্পী জন বাতিস্তে, লেঅ্যান রাইমস, দারিয়ুস রুকারসহ টিমের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সাবেক প্রেসিডেন্টের নাতি।
আরও পড়ুন: