নাটকটি রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম।
Published : 07 Jul 2023, 04:29 PM
প্রাচ্যনাট প্রযোজিত ‘আগুনযাত্রা’ নাটকের পাঁচটি প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে এ সপ্তাহে।
ভারতের নাট্যকার মহেশ দাত্তানির লেখা ‘সেভেন স্টেপ অ্যারাউন্ড দ্য ফায়ার’ থেকে নাটকটি অনুবাদ করেছেন শহীদুল মামুন। রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম।
প্রাচ্যনাট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এবং ১২ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে নাটকটির দুটি প্রদর্শনী হবে।
এরপর নাটক সরণির মহিলা সমিতির মঞ্চে ১৩ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় এবং ১৪ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আরও তিনটি প্রদর্শনী হবে।
নাটক শুরু হওয়ার আগে খাকবে থিয়েট্রিক্যাল পারফরম্যান্স এবং প্রাচ্যনাটের সকল নাটকের পোস্টার প্রদর্শনী। ‘আগুনযাত্রা’ প্রাচ্যনাটের ৪১তম প্রযোজনা।
এ নাটকের চরিত্র উমার গবেষণার বিষয় হিজড়া বা রূপান্তরকামী মানুষ অথবা তৃতীয় লিঙ্গ। এ গবেষণার সূত্র ধরে সে কমলা হিজরার হত্যাকাণ্ডের সূত্র খুঁজে পায়। কমলাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে এবং এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আনারকলি নামে আরেক হিজড়া হাজতবাস করছে।
উমার স্বামী জেল পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা, সেই সুবাদে আনারকলির সাথে সাক্ষাত করা সহজ হয় উমার এবং আরো কিছু সুত্র খুঁজে খুঁজে সে হিজড়াদের ডেরায় প্রবেশ করে।
উমার এই গবেষণা শুধু গবেষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, সে জড়িয়ে পরে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের সাথে মায়া আর দায়িত্বের বন্ধনে। উমার হারিয়ে যাওয়া এক ভাই বা বোন তৃতীয় লিঙ্গের। উমা যেন তাকেও খুঁজে ফেরে। ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করতে গিয়ে উমা অনেক অজানা অচেনা জগত আবিষ্কার করে- সেই সাথে কমলার হত্যাকাণ্ডের রহস্যও উদঘাটিত হয়।
লিঙ্গ পরিচয় আড়াল করে কমলাকে কোনো এক মন্দিরে পুরোহিতের অজ্ঞাতে বিয়ে করে মন্ত্রীপুত্র সুব্বু। তার এই বিয়ের খবর মন্ত্রীর কাছে পৌঁছালে তার আভিজাত্যে আঘাত লাগে। দেহরক্ষী সালিমের মাধ্যমে কমলাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ব্যবস্থা করে সুব্বুকে সম্ভ্রান্ত পরিবারের সুপাত্রীর সাথে আবার বিয়ের বন্দোবস্ত করে। বিয়ের লগ্ন শেষ হতেই কমলা হত্যার ঘটনা জানতে পারে সুব্বু এবং নিজে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
‘আগুনযাত্রা’ নাটকে অভিনয় করছেন শাহেদ আলী, ফরহাদ হামিদ, সানজিদা প্রীতি, শারমিন আক্তার শর্মী, প্রদ্যুৎ কুমার ঘোষ, মো. আব্দুর রহিম খান, রকি খান, তানজি কুন, ডায়ানা ম্যারলিন, ফয়সাল সাদী, আহমেদ সাকি, এ কে এম ইতমাম, তমাল, রানা নাভেদ, উচ্ছাস তালুকদার।
মঞ্চ ও আলো পরিকল্পনা করেছেন মো. সাইফুল ইসলাম। সংগীত পরিকল্পনা করেছেন রাহুল আনন্দ। কোরিওগ্রাফি করেছেন স্নাতা শাহরিন। প্রপস পরিকল্পনা করেছেন তানজি কুন এবং পোশাক পরিকল্পনা করেছেন আফসান আনোয়ার। ভিডিও নির্মাণ ও প্রক্ষেপণে রয়েছেন শাহরিয়ার শাওন ও রিপন কুমার দাস ধ্রুব।