তিনি বলেন, “এয়ারবাস এরই মধ্যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”
Published : 07 May 2024, 09:07 PM
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য বোয়িং নাকি এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ সংগ্রহ করা হবে, এমন প্রশ্নে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, দেশের জন্য যেটা ভালো হবে, সেটিই বিবেচনা করা হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যান ম্যারি ট্রেভেলিয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন বলে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ ১০টি উড়োজাহাজ কিনতে চায়। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং, আর ফ্রান্সভিত্তিক ইউরোপিয়ান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস প্রস্তাব দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে মন্ত্রী ফারুক খান বলেন, “বেসামরিক বিমান খাতে যৌথভাবে কী করা যায়, সেটাই ছিল আমাদের আলোচনার মূলকেন্দ্র। তারা আমাদের নতুন বিমানবন্দর দেখেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন যে, এখানে অনেক কাজ হবে।
“ইউরোপে তারা এয়ারবাস বানায়, আমাদের বিমানের বহরে বোয়িং আছে। তারা আমাদের কাছে এয়ারবাস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, বেশ ভালো প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। এরইমধ্যে বোয়িংও আমাদের ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এ বিষয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে একটি মূল্যায়ন কমিটি করা হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য যেগুলো ভালো হবে; সেগুলো আমরা বিবেচনা করব।”
তিনি বলেন, “এয়ারবাস এরই মধ্যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এবারই তারা একটি সমঝোতা স্মারকে সই করার কথা বলেছিল। কিন্তু আমরা বলেছি, আগে মূল্যায়ন শেষ হোক, তারপর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।”
আরেক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের বিষয়ে পত্রিকায় বিভিন্ন কথা এসেছে। আমরা এই মুহূর্তে বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না। তবে বোয়িংয়ের সাথে কথা বলে কারিগরি বিষয়গুলো জানতে বলেছি। এই মুহূর্তে আমরা কোনো সমস্যা পাইনি। এই মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। একজন কিংবা দুজনের কথার ওপর ভিত্তি করে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তবে এ বিষয়ে আমরা সতর্ক ও জানার চেষ্টা করছি।
যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে কাজ করতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে প্রধানত কথা হয়েছে, আমাদের এভিয়েশন সিকিউরিটি নিয়ে প্রশিক্ষণের বিষয়ে। এই প্রশিক্ষণের সাথে বিনিয়োগও হতে পারে, যুক্ত হতে পারে আধুনিক যন্ত্রপাতি। তবে ভবিষ্যতে এভিয়েশন খাতে কীভাবে বিনিয়োগ করবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
“এছাড়া সিকিউরিটি, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়েও কথা হয়েছে। এসব খাতে তাদের বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। তারা জানেন, ঢাকা ছাড়াও সিলেট ও কক্সবাজারে আমাদের দুটো বিমানবন্দরে উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। তারা আরো জানতে পেরেছেন, সৈয়দপুরে একটা বিমান হাব তৈরির চেষ্টা করছি। এসব কারণে তারা বেসামরিক বিমান খাত নিয়ে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করেছে।”
এ সময় যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী অ্যান ম্যারি ট্রেভেলিয়ান বলেন, “যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয়ের সাথে আমাদের নিরাপত্তা বিষয়ক অংশীদারিত্ব রয়েছে। আমরা এভিয়েশন খাতে দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা আলোচনা করেছি।”