চঞ্চলের ভাষ্য, “ধরে নিলাম দেশের মানুষের কাছ থেকে এগুলো আমার শিল্পী জীবনের অন্যতম স্বীকৃতি।”
Published : 10 Aug 2024, 09:47 AM
মানসিকভাবে অস্বস্তিতে আছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তার অস্বস্তির কারণ, তাকে নিয়ে পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসত্য লেখালেখির চর্চা হচ্ছে।
বিষয়টি চঞ্চল খোলাসা করেছেন ফেইসবুকে।
‘আমি চঞ্চল চৌধুরী বলছি’ শিরোনামে এই অভিনেতা বলেছেন, “আমার নাম ব্যবহার করে কোনো বিদেশি/দেশি পত্রপত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে যদি কিছু লেখা হয়, তার দায় আমার নয়। কারণ এখন পর্যন্ত আমি কোনো পত্রপত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেইনি।”
নিজেকে ‘একজন সাধারণ শিল্পী’ বর্ণনা করে চঞ্চল বলেছেন, “পেশাগত কারণ ছাড়া কোনো কিছুর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার মায়ের চরম অসুস্থতাজনিত কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশি সক্রিয় নই।”
সবার মঙ্গল কামনা করে দেশে শান্তি বিরাজ করার প্রত্যাশায় পোস্টটি শেষ করেছেন চঞ্চল।
চঞ্চলের এই পোস্টের মন্তব্যের ঘরেও এই শিল্পীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করে নানা ধরনের কথা বলা হয়েছে।
সে সব মন্তব্যের একটিও মুছে ফেলবেন না বলেও জানিয়েছেন চঞ্চল।
তার ভাষ্য, “ধরে নিলাম দেশের মানুষের কাছ থেকে এগুলো আমার শিল্পী জীবনের অন্যতম স্বীকৃতি।”
গত মাসের মাঝামাঝিতে দেশ যখন শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল, তখন চঞ্চল চৌধুরী কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। আন্দোলনে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে গত ১৭ জুলাই ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি।
আবেগঘন সেই পোস্টে চঞ্চল লিখেছিলেন, “সমাধানের অন্য কোনো পথ কি খোলা ছিল না? গুলি কেন করতে হলো? বুকের রক্ত না ঝরিয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেত না? যা ঘটে গেল, এটা যেমন মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়, বিষয়টা তেমনি হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক ও সভ্যতাবহির্ভূত।”
আর এক সপ্তাহ বাদে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেতে চলছে চঞ্চল অভিনীত ‘পদাতিক’ সিনেমাটি। কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি চঞ্চলকে পর্দায় হাজির করছেন প্রখ্যাত নির্মাতা মৃণাল সেন রূপে।
এরিমধ্যে ট্রেইলার এসেছে ‘পদাতিকের’। আগামী ১৫ অগাস্ট কলকাতায় সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। এর একদিন পরে ঢাকায় সিনেমাটি মুক্তির কথা থাকলেও, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।