রাজ-পরীর আলিঙ্গন কী বার্তা দিল

ছেলে রাজ্যের জন্মদিনের কেক কাটা হল একসঙ্গে, আলিঙ্গন হল, সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় আলোচনারও খোরাক জোগালো। তাহলে কি শরিফুল রাজ আর পরীমনির পুনর্মিলন হল?

বুধবার রাতে গান বাংলা স্টুডিওতে এক হয়েছিলেন রাজ-পরী। সেখানেই ছেলের জন্মদিনের কেক কাটার আনুষ্ঠানিকতা। ভক্তরা জানতে চাইছেন, ঢাকাই সিনেমার এ দুই তারকার ভাঙা সংসার জোড়া লাগছে কি না। রাজ-পরী অবশ্য মুখ খোলেননি।

মূলত সংগীত পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপস এবং গান বাংলার চেয়ারম্যান ফারজানা মুন্নীর উদ্যেগেই সন্তান রাজ্যকে নিয়ে একসঙ্গে হয়েছিলেন পরীমনি ও রাজ।

তাপস সেই মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ফেইসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, “রাজ্য বাবার জন্মদিন উদযাপন করা হচ্ছে টিএমের পক্ষ থেকে।"

গেল মে মাস থেকেই আলাদা থাকছেন রাজ-পরী। গত ১০ অগাস্ট রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে রাজ-পরীর ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যের প্রথম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়। সেখানে দেখা যায়নি শরিফুল রাজকে।

অবশ্য শোনা গিয়েছিল, আগের দিন পরীমনির বাসায় গিয়ে সন্তানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজ, তার দুদিন আগেই কলকাতা থেকে ফিরেছেন তিনি। কলকাতা থেকে ছেলের জন্য আনা উপহারও তুলে দিয়েছিলেন। কলকাতা গিয়ে নিজের মোবাইল ফোন হারিয়ে অন্য একটি নম্বর থেকে পরীমনিকে ফোন করে কথাও বলেছিলেন।

কিন্তু রাজ্যের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে রাজের অনুপস্থিতি তাদের সংসারের ভাঙনের গানটিই প্রকট করে তুলছিল। কিন্তু কদিন বাদেই গানবাংলার স্টুডিওতে তাপস ও মুন্নীর সঙ্গে রাজ-পরীকে একসঙ্গে দেখা গেল।

তবে কী তাদের অভিমান পর্ব শেষ হয়েছে? উত্তর জানতে শরিফুল রাজকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। পরীমনির ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

গান বাংলার জনসংযোগ কর্মকর্তা রুদ্র হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "রাজ-পরীর সংসারে যে অভিমান চলছে, এটা তো সবার জানা। যার জের ধরে রাজ্যের জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি শরিফুল রাজকে।

“রাজ্য যেন তার বাবা-মাকে কাছে পায়, সেটি বিবেচনা করেই এ উদ্যেগটি নেওয়া হয়েছে, রাজ-পরীর ছেলে রাজ্য যেন ভবিষ্যতে বলতে পারে যে প্রথম জন্মদিনের কেক বাবা-মাকে নিয়েই কেটেছে, সেজন্যই তাপস-মুন্নী দম্পতির এই উদ্যেগ।"

বাকবিতণ্ডার জেরে পরীমনি ও রাজ একে অপরকে ছেড়ে আলাদা থাকছেন মে মাসের শেষ থেকে। এর মধ্যে গত ১০ জুন ছেলে রাজ্যের ১০ মাস পূর্তিতে ঘরোয়া আয়োজনে একসঙ্গে হয়েছিলেন তারা। ওই আয়োজনের ছবি দেখে অনেকের ধারণা হয়েছিল, ঝামেলা মিটিয়ে বুঝি একসঙ্গে থাকছেন তারা।

তবে পরীমনি সে সময়ে ফেইসবুকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে লিখেছিলেন, শুধু ছেলে রাজ্যর পৃথিবীতে আসার দিনটি তারা দুজন মিলে উদযাপন করেছেন, যা আগামীতেও করবেন। এবং এক্ষেত্রে তাদের জীবনের অন্যান্য বিষয় টেনে আনা হবে না।

রাজ্যের ১১ মাস পূর্তিও উদযাপন করেন পরীমনি, সেখানে দেখা যায়নি শরিফুল রাজকে। পরে এক বছর পূর্তি উদযাপনও রাজকে ছাড়াই করেছিলেন পরী। প্রায় এক সপ্তাহ পর ছেলের জন্মদিনের কেক একসঙ্গে কাটলেন তারা।

২০২১ সালে ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন রাজ ও পরীমনি, ছেলে রাজ্যের জন্ম হয় পরের বছর ১০ অগাস্ট।

তাদের সাংসারিক ঝুটঝামেলা অন্দরের বাইরে প্রথম আসে ২০২২ সালে। বছরের শেষ দিনটিতে ‘বিচ্ছেদের’ ইঙ্গিত দিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট দেন পরীমনি।

সাম্প্রতিক সমস্যার শুরু গত ৩০ মে। ওইদিন রাজের ফেইসবুক আইডি থেকে কয়েকটি ভিডিও এবং ছবি প্রকাশ হয়। সেগুলো কিছুক্ষণ পর মুছে দেওয়া হলেও ততক্ষণে ছড়িয়ে পড়ে নানা মাধ্যমে।

ওই ভিডিও এবং ছবিতে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল, তানজিন তিশা এবং নাফিজা তুষিকে দেখা গিয়েছিল। তাদের ‘অসংলগ্ন’ কথা সোশাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনার খোরাক জুগিয়েছিল।

এরপর একটি সংবাদমাধ্যমের লাইভ শোতে গিয়ে নায়ক শরীফুল রাজ সোজাসাপ্টা কথায় জানিয়ে দেন, আপাতত অফিসিয়াল ডিভোর্সের পথে না হাঁটলেও সংসারে তিনি আর ফিরবেন না। তবে যে কোনো সময় যে কোনো পরিস্থিতিতে তিনি ছেলেকে দেখতে যাবেন।

রাজের সিদ্ধান্তে পরীমনির ঘোষণা ছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজের কাছে ডিভোর্স চান তিনি। এও বলেছিলেন, বাচ্চার দায়িত্ব একজনের উপরে চাপিয়ে দিয়ে ঘুরে বেড়াবে রাজ, সেটা হয় না।

পুরনো খবর

রাজ্যর জন্য আবার একসাথে রাজ-পরীমনি

বাবা দিবসে রাজকে কটাক্ষ করে পরীমনির পোস্ট

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘ডিভোর্স’ চান পরীমনি

‘লাইভে’ এসে রাজের সব কথার উত্তর দেবেন পরীমনি

ঝড় পেরিয়ে ‘রাজ্য’ পেলেন রাজ-পরী

নতুন ছবি দিলেন পরীমনি, সঙ্গে কি বার্তাও?

বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়ে পরীমনির ফেইসবুক পোস্ট

বিছানায় রক্তের ছোপ, সংবাদ সম্মেলনে আসছেন পরীমনি

বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়ে পরীমনির ফেইসবুক পোস্ট

ঘরকে ‘ঘরেই রাখতে চান’ রাজ