ফেডারেশনের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকী বলেন, "আমি সমালোচনাকে ভয় পাই না৷ তবে তারা অধিকাংশ ফেডারেশনের সদস্য নয়৷ তারা বিভ্রান্ত, সঠিক পথে নেই।"
Published : 16 Jun 2023, 10:50 PM
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনকে ঘিরে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে ঢাকার নাটকপাড়ায় উত্তেজনার পারদ আরও চড়েছে।
দেশে থিয়েটার আন্দোলনের অভিভাবক এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ তুলে শুক্রবার বিকেলে জাতীয় নাট্যশালার প্রধান ফটকের সামনে 'সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দ' নামে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন একদল নাট্যকর্মী। ফেডারেশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ নয় দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।
এর ঘণ্টা তিনেক আগে জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন বলে, যারা আন্দোলন করছেন, তারা ফেডারেশনের ‘কেউ নন'।
জাতীয় নাট্যশালার প্রধান ফটকের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, আহমেদ ইকবাল হায়দার, আজাদ আবুল কালামসহ অনেকে। সারা যাকের মোবাইল ফোনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ বারী। সঞ্চালনা করেন ফয়েজ জহির।
সেই সমাবেশে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে নজিরবিহীনভাবে একই ব্যক্তি বছরের পর বছর ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের পদে দায়িত্ব পালন করায়। ফলে ঢাকাসহ সারাদেশের নাট্যচর্চা আদর্শিক দিশাহীনতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে এবং নানাবিধ সংকটের সম্মুখিন হয়েছে। মূলত লিয়াকত আলী লাকীর স্বেচ্ছাচারী আচরণের কারণেই এমন উদ্ভূত পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।"
অন্যদিকে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ফেডারেশনের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজাসহ ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান যেখানে সারাদেশের নাট্যচর্চাকে বেগবান এবং কার্যকরীভাবে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে একটি মহল বাংলাদেশ ফেডারেশানকে অকার্যকর হিসেবে আখ্যায়িত করার অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এবং নাট্যকর্মীদের মধ্যে বিভেদ তৈরির করার কাজে লিপ্ত। আমরা এই অপচেষ্টার নিন্দা জ্ঞাপন করছি।"
টানাপড়েনের শুরু যেভাবে
২০২২ সালে ‘আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতার’ অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ এবং অর্থ সম্পাদক রফিকুল্লাহ সেলিমকে অব্যাহতি দেওয়া হলে সংকটের সূচনা হয়।
পরে সংবাদ সম্মেলন করে কামাল বায়েজীদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এভাবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কাউকে অব্যাহতি দেওয়া ‘অগণতান্ত্রিক’।
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রামেন্দু মজুমদার গত ২৩ জানুয়ারি নাট্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে এক খোলা চিঠিতে ফেডারেশানের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্যে স্থগিত করার আহ্বান জানান। বায়েজীদকে বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় মার্চে ফেডারেশন ছাড়ার ঘোষণা দেয় ঢাকা থিয়েটার।
তাতে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করে এপ্রিলে ফেডারেশনের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকীকে চিঠি দেন দেশের শীর্ষ চার নাট্যসংগঠনের প্রধান, যারা বিভিন্ন মেয়াদে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। তাদের মধ্যে আছেন রামেন্দু মজুমদারও। এছাড়া ‘নাট্যচক্রের’ পক্ষে ম হামিদ, ‘আরণ্যকের’ পক্ষে মামুনুর রশীদ এবং ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের’ পক্ষে সারা যাকের চিঠিতে সই করেন।
এমন পরিস্থিতিতে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের বর্তমান নেতৃত্ব নিয়ে অনাস্থা এবং সংগঠনের অচলাবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে থিয়েটার চর্চার সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়ে ৬৭ জন নাট্যকার, নির্দেশক ও সংগঠক বিবৃতি দেন।
বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন নাট্যজন মোহাম্মদ বারী। পরে এই বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়ে ফেডারেশন মোহাম্মদ বারীকে হেয় করে পাল্টা বিবৃতি দেয়।
নাট্যকর্মীদের একাংশ ফেডারেশনের ভাষার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং মোহাম্মদ বারীকে কুরুচীপূর্ণ ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে বলে ফেইসবুকে প্রতিবাদ জানান অনেকে।
মোহাম্মদ বারীর প্রতিবাদী অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে থিয়েটার পত্রিকা ‘ক্ষ্যাপা’সহ নাট্যকর্মীদের একাংশ তার পক্ষে অবস্থান নেন। পরে সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দ ব্যানারে তারা শুক্রবার বিকালে জাতীয় নাট্যশালা প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ আহ্বান করেন।
‘তারা বিভ্রান্ত, সঠিক পথে নেই’
দুপুরে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, যারা আন্দোলন করছেন, তাদের সাথে ফেডারেশনের কোনো ‘সম্পর্ক নেই’।
ফেডারেশনের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকী বলেন, "আমি সমালোচনাকে ভয় পাই না৷ তবে তারা অধিকাংশ ফেডারেশনের সদস্য নয়৷ তারা বিভ্রান্ত, সঠিক পথে নেই।"
৬৭ জন নাট্যকার, নির্দেশক ও সংগঠক বিবৃতির প্রসঙ্গ ধরে ফেডারেশনের তরফ থেকে বলা হয়, “যেসকল সংগঠনের সাথে ফেডারেশানের কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই তাদের এ ধরনের বিবৃতি প্রদান করার যৌক্তিকতার বিষয়টি আমাদের বোধ্যগম্য নয়। নাট্যান্দোলন ও ফেডারেশানকে নিয়ে অর্বাচীন উক্তি নাট্যচর্চাকে অবমাননার সামিল বলে মনে করে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান।"
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সকলকে এধরনের বিবৃতি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘নোংরা পোস্ট’ দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহবান জানায় ফেডারেশন। তা না হলে ফেডারেশান এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়।
‘দায় তাদেরই নিতে হবে’
বিকালে জাতীয় নাট্যশালার প্রধান ফটকের সামনে ‘সাধারণ নাট্যকর্মীদের’ প্রতিবাদ সমাবেশে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, "সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সুস্থ ধারার নাট্যচর্চার ক্ষেত্রে উদ্ভূত প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করার জন্য নানামুখী প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের বর্তমান মেয়াদ উত্তীর্ণ নির্বাহী কমিটির নির্লিপ্ততার কারণে অনেক হতাশা নিয়ে আমরা আজ এই প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে সকলের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি।”
ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমিতে তিনটি হল রয়েছে। তিনটি হলই লাইট-সাউন্ডসহ নানাবিধ কারিগরি ও পরিবেশগত সমস্যায় জর্জরিত বছরের পর বছর। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব বিষয়ে ফেডারেশানের কর্মকর্তাদের তেমন কোনো উদ্যোগ বা তৎপরতা ‘চোখে পড়েনি’ বলে অভিযোগ করা হয় প্রতিবাদ সমাবেশে।
বলা হয়, “মনে হচ্ছে ফেডারেশানের কর্মকর্তারা যেন তাদের নিজস্ব দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের থেকে শিল্পকলা একাডেমির এজেন্ডা বাস্তবায়নে বেশি মনোযোগী। এ কারণে ফেডারেশনের সদস্য সংগঠন, এমন কী যারা সদস্য না হয়েও ফেডারেশানকেই নাটকের জন্য প্রয়োজনীয় সংগঠন মনে করত এতদিন, তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।"
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, "ফেডারেশানের বর্তমান কমিটি অনেক আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি একের পর এক অবৈধ কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করে, যা এদেশের নাট্যকর্মীদেরকে চরমভাবে হতাশ করে তোলে।
"সংকট সমাধানের উপুর্যপরী আহ্বান-উদ্যোগ প্রক্রিয়াকে ফেডারেশনের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছেন এবং তারা তাদের অসাংগঠনিক কার্যকলাপের মাধ্যমে নাট্যাঙ্গনে বিভাজন সৃষ্টির সমস্ত রূপরেখা তৈরি করে চলেছেন। তাদের বিরূদ্ধে এই অভিযোগের সব থেকে বড় প্রমাণ হল, দীর্ঘদিন হলো যারা ফেডারেশানের ঐক্য ও গঠনতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছেন, তাদেরকেই তারা ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।"
প্রতিবাদ সমাবেশের লিখিত ভাষ্যে বলা হয়, "এই কর্মসূচির মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সংগ্রামী চরিত্রের সংগঠনটিকে তারা হীন স্বার্থে বিভক্ত করার পাঁয়তারা করলেন এবং এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা জ্যেষ্ঠ নাট্যব্যক্তিত্বদেরকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে আজ তারা তাদের স্বরূপ উন্মোচন করলেন। তাদের কাছ থেকে আর শুভ কোনোকিছুই প্রত্যাশা করা যায় না।
"এরপরও আমরা মনে করি এখনও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের ঐক্যবদ্ধ থাকার পথ খোলা আছে, যদি তারা তাদের অশুভ অভিপ্রায় পরিহার করেন এবং নিজেদের ভুল অনুধাবন করেন। অন্যথায় এর দায় দায়িত্ব তাদেরকেই বহন করতে হবে।"
৯ দফা
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ৯ দাবি তুলে ধরেন নাট্যকর্মীরা।
১. বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের ঐক্য ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবিকে বারংবার অগ্রাহ্য করে, সংকট সমাধানের কোনোরকম উদ্যোগ গ্রহণ না করে বরং যারা ফেডারেশানের ঐক্য ও গঠনতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন, তাদেরকেই ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে সারাদেশে ১৭ থেকে ২৩ জুনের প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়ে চূড়ান্ত বিভাজনের পথে এগিয়ে গেছে, তা থেকে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডাশোনকে সরে আসতে হবে। তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে হবে।
২. বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের পক্ষ থেকে রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, ম. হামিদ ও সারা যাকেরকে মূল বিষয় এড়িয়ে বিভ্রান্তিকর যে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং ড. মোহাম্মদ বারীসহ ৬৭ নাট্যজনকে ‘অশালীন ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ করে’ যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
৩. বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, এই দুই পদে একই ব্যক্তির অধিষ্ঠান প্রথাবিরোধী ও ফেডারেশানের গঠনতন্ত্রের মূল মর্মের সাথে সাংঘর্ষিক। নাট্যকর্মীদের দাবি, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান পদত্যাগ করে গঠনতন্ত্রের মূল মর্মকে সমুন্নত করবেন।
৪. ব্যক্তিস্বার্থে বারবার ফেডারেশানের গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন অগ্রহণযোগ্য। অতএব এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় ও উদ্দেশ্যমূলক কর্মকাণ্ড থেকে ফেডারেশানকে বিরত থাকতে হবে।
৫. বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের আর্থিক অনিয়ম বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের উত্থাপিত অভিযোগসমূহ তদন্তের জন্য অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬. নানা ধরনের প্রলোভনের মাধ্যমে সাধারণ নাট্যকর্মীদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি ও বিভ্রান্তিমূলক তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
৭. হল বরাদ্দে অব্যবস্থা-অনিয়ম দূর করতে হবে। এক্ষেত্রে দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নাট্যজনদের সমন্বয়ে নতুন হল বরাদ্দ কমিটি গঠন করে, তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।
৮. নাট্যকর্মীদের বক্তব্য ও দাবিসমূহকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৯. দেশব্যাপী স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান এবং জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর নানা ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতার ব্যাপারে দীর্ঘদিনের নিষ্ক্রিয়তা পরিহার করতে হবে এবং অতীতের মতো শৈল্পিক প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, "উপরের দাবিসমূহ অবিলম্বে পূরণ করা না হলে আমরা অনতিবিলম্বে একটি নাট্য ঐক্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে নাট্যকর্মী, দলসমূহ এবং সামগ্রিক নাট্যচর্চার উন্নয়নে কাজ করার ক্ষেত্র তৈরি করতে বাধ্য হব।"