দক্ষিণ কোরিয়ায় সব পুরুষের ২০ মাস সামরিক প্রশিক্ষণ নিতেই হয়।
Published : 02 Aug 2022, 11:43 PM
বয়সের কারণে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতেই হচ্ছে বিটিএস সদস্যদের; কিন্তু তখনও তারা একসঙ্গে গাইতে পারবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়ম অনুযায়ী ১৮ বছর থেকে ২৮ বছরের মধ্যেই সব পুরুষের ২০ মাস সামরিক প্রশিক্ষণ নিতেই হয়।
কিন্তু বিটিএস বলে কথা, কোরিয়ার পপকে বিশ্বজুড়ে পরিচিত করা এই ব্যান্ড দলের জন্য
২০২০ সালে নিয়ম কিছুটা শিথিল করে ২৮ বছরের বদলে ৩০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
সেই বাড়তি সময়সীমার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন ব্যান্ডটির সব থেকে জ্যেষ্ঠ সদস্য জিন। তার বয়স আগামী বছর ৩০ হবে।
ফলে তাকে সামরিক প্রশিক্ষণে যেতে হওয়ায় ব্যান্ডটি একসঙ্গে গাইতে পারবে কি না, তা নিয়ে কৌতূহল ছিল অগুনতি ভক্তের।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিবিসির জিজ্ঞাসায় কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি জং-সুপ বলেন, “তাদেরকে একসঙ্গে অনুশীলন ও পারফর্ম করার সুযোগ দেওয়ার একটি উপায় বের করা যেতে পারে।”
সামরিক প্রশিক্ষণের এ বাধ্যবাধকতা ২০ মাস থেকে কমিয়ে তিন সপ্তাহ করার বিষয়েও কোরিয়ার পার্লামেন্টে বিতর্ক রয়েছে।
তবে খেলাধুলাসহ যারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন যারা, তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা রয়েছে। অলিম্পকস, এশিয়ান গেইমসে পদকজয়ীসহ সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পীরা নির্দিষ্ট কিছু প্রতিযোগিতায় জয়ীরা এক্ষেত্রে ছাড় পান।
ইংল্যান্ডের টটেনহাম ফুটবল ক্লাবের সদস্য সন হিয়ুং-মিন ২০২০ সালে তিন সপ্তাহের সামরিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন।
সংসদের একটি অধিবেশনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি জং-সুপ বলেছিলেন, বিটিএসকে তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েও সামরিক বাহিনী জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে পারে।
“অনেকেই (শিল্পী ও খেলোয়ার) সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। ফলে এটি তাদের জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।”
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য নেই বলে রেডিও ওয়ানকে জানিয়েছে বিটিএস।
গত জুনে দলের সদস্যদের ব্যক্তিগত কাজের জন্য সাময়িক বিরতির কথা জানালেও তারা একেবারে আলাদা হচ্ছে না বলে জানিয়েছিল কে-পপ গেয়ে আলোচনায় আসা দলটি।