এ বছর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সর্বোচ্চ ৬৫ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন নূর ইমরান মিঠু ও মাতিয়া বানু শুকু।
Published : 19 Jun 2023, 02:05 PM
সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাকে অনুদান দিচ্ছে।
রোববার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমার তালিকা প্রকাশ করা হয়।
উপসচিব সাইফুল ইসলাম গ্লিটজকে প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন।
১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে দেশীয় চলচ্চিত্রে সরকারি এ অনুদান চালু করা হয়। মাঝে কয়েক বছর বাদে প্রতিবছরই অনুদান দেওয়া হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের সরকারি অনুদানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বছর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সর্বোচ্চ ৬৫ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন নূর ইমরান মিঠু ও মাতিয়া বানু শুকু। ‘সার্কাস’ সিনেমার জন্য এ অর্থ বরাদ্দ পেয়েছেন মিঠু। সিনেমাটি পরিচালনাও করবেন তিনি।
পূর্ণদৈর্ঘ্য শাখায় অনুদান পেলেন যারা
এবার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ও শিশুতোষ শাখায় ৪টি এবং সাধারণ শাখায় ১৮টি সিনেমাকে অনুদান দেওয়া হয়। অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমার মধ্যে রয়েছে- ‘যুদ্ধ শিশু’ (মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখা)। যার প্রযোজক বদরুন নাহার রক্সি, পরিচালক মোহাম্মদ উল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ শাখায় ‘ভোর’; প্রযোজক মাহিন মাহনুমা পরিচালক আমিনুর রহমান খান।
শিশুতোষ শাখায় ‘মাটির রাজ কুমার’ অনুদান পেয়েছে। এর প্রযোজক শামীমা ইসলাম তুষ্টি, পরিচালক রুবেল শঙ্কর বিশ্বাস। ‘মস্ত বড়লোক’ (শিশুতোষ শাখা); প্রযোজক ও পরিচালক আকা রেজা গালিব।
সাধারণ শাখায় অনুদানপ্রাপ্তদের মধ্যে আছে ‘দেনা পাওনা’, প্রযোজক ও পরিচালক সাদেক সিদ্দিকী। ‘সার্কাস’, প্রযোজক ও পরিচালক নূর ইমরান মিঠু। ‘লাল মিয়া’, প্রযোজক মাতিয়া বানু শুকু ও পরিচালক নূরুল আলম আতিক। ‘মাস্টার’, প্রযোজক ও পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত। ‘দ্যা আগস্ট’, প্রযোজক ও পরিচালক মাসুদ পথিক। ‘রেনুর মুক্তিযুদ্ধ’, প্রযোজক ও পরিচালক রোকেয়া প্রাচী। ‘লারা’, প্রযোজক জ্যোতিকা পাল জ্যোতি ও পরিচালক শেখর দাশ। ‘দুই পয়সার মানুষ’, প্রযোজক ও পরিচালক ঝুমুর আসমা জুঁই।
‘সর্দারবাড়ির খেলা’, প্রযোজক মীর জাহিদুল হাসান (মীর জাহিদ হাসান) ও পরিচালক মো. সাজীব আহমেদ (রাখাল সবুজ)। ‘ঠিকানা’, প্রযোজক ও পরিচালক আনোয়ার হোসেন (পিন্টু)। ‘জীবন আমার বোন’, প্রযোজক মোহাম্মদ জাহিদুল করিম ও পরিচালক এনায়েত করিম বাবুল। ‘সূর্য সন্তান’, প্রযোজক সৈয়দ আশিক রহমান ও প্রযোজক কৌশিক শংকর দাস। ‘শিরোনাম’, প্রযোজক কাজী রুাবায়াৎ হায়াৎ ও পরিচালক এস এম তারেক রহমান। ‘নীল আকাশে পাখি উড়ে’, প্রযোজক ও পরিচালক এস ডি রুবেল। ‘নীল জোসনার জীবন’, প্রযোজক ও পরিচালক ফাখরুল আরেফিন খান। ‘রুখসার’, প্রযোজক ও পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। ‘শাপলা শালুক’, প্রযোজক ও পরিচালক রাশেদা আক্তার লাজুক। ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’, প্রযোজক ইয়াসির আরাফাত ও পরিচালক জহির রায়হান।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
২০২২-২৩ অর্থবছরে ১টি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক, ১টি শিশুতোষ, ২টি প্রামাণ্যচিত্র এবং ২টি সাধারণ শাখায় মোট ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদান দেওয়া হয়। অনুদানপ্রাপ্ত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমারমধ্যে রয়েছে- ‘নিশিবক’ (মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখা), প্রযোজক ও পরিচালক সাজ্জাদ
জহির। ‘নদাই’ (শিশুতোষ শাখা), প্রযোজক ও পরিচালক শহিদুল ইসলাম (পথিক শহিদুল)। ‘রংগিলা নায়ের মাঝি’ (প্রামাণ্যচিত্র শাখা), প্রযোজক নূরজাহান আলীম ও পরিচালক মীর শামছুল আলম বাবু। ‘নূর: ছয় শব্দের ইশতেহার’, প্রযোজক ও পরিচালক আ আ মো. মাহমুদুল হাসান। ‘সোনার নকশীকাঁথা’ (সাধারণ শাখা), প্রযোজক ও পরিচালক সুবর্ণা সেঁজুতি টুসি। ‘কফিন’ (সাধারণ শাখা), প্রযোজক ও পরিচালক আছমা আক্তার (লিজা)।