Published : 01 Nov 2024, 10:14 AM
বর্ষীয়ান অভিনেতা আবুল হায়াতের আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘রবি পথ’র মোড়ক উন্মোচন করা হবে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে।
'রবি পথ কর্মময় আশি' শিরোনামের ওই অনুষ্ঠানটি হবে শনিবার শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে অভিনয়শিল্পী সংঘ।
সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম গ্লিটজকে বলেন, "ওইদিন আবুল হায়াতকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে তার জীবনী নির্ভর বই ‘রবিপথ’র মোড়ক উন্মোচন, বই থেকে বিভিন্ন অংশ পাঠ করা হবে। তার জীবনের অজানা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে সেদিন।"
নাসিমের ভাষ্য, আবুল হায়াত তার জীবনের দীর্ঘ সময় অভিনয় শিল্পের পেছনে ব্যয় করেছেন, তিনি যুক্ত ছিলেন নির্দেশনাতেও।
“একজন আবুল হায়াত হয়ে উঠা এবং আশি বছরে এসেও এত সুন্দর করে সব মাধ্যমে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। উনার সম্পর্কে সব শিল্পীদের জানার দরকার আছে। এটাও এই অনুষ্ঠান করার পেছনের আরেকটি কারণ।“
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আশা করছেন, আয়োজনটি শিল্পীদের একটি মিলনমেলায় রূপ নেবে।
“দীর্ঘদিন ধরে শিল্পীদের নিয়েও বড় কোনো আয়োজন হয়নি। সব মিলিয়ে আনন্দ ,আড্ডায় সবার একটি ভালো মুহুর্ত কাটবে সেই আশা রাখছি।"
'রবিপথ কর্মময় আশি' অনুষ্ঠানটি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আবুল হায়াত বলেন," ভালো লাগছে, আমাকে ভেবে এমন একটা আয়োজন করা হচ্ছে। আমার জীবনকাহিনী লিখেছি সেটাও প্রকাশ হবে। আমি আনন্দ নিয়েই বইটি লিখেছি, কে কীভাবে নেবে তা জানি না। তবে সবার যে ভালোবাসা পাচ্ছি, এটাই বড় পাওয়া।"
গল্প-উপন্যাসের বাইরে নিজের জীবনের নানা কথা, আলাপ আর ঘটনা নিয়ে 'রবি পথ' বইটি সাজিয়েছেন এই অভিনেতা। প্রায় এক দশক ধরে বইয়ের কাজ চলেছে।
এ অভিনেতা আবুল হায়াত নামে পরিচিত হলেও তার ডাক নাম রবি। ডাক নামেই নিজের আত্মজীবনীর নাম রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হায়াত।
বইটি নিয়ে অভিনেতা বলেছিলেন, “এই বইটা কোনো গল্প বা উপন্যাস নয়। পাঠকের যদি আমার বিষয়ে কোনো আগ্রহ থাকে, তাদের সেই আগ্রহটা পূরণ করবে এতটুকু আশা করছি। আমি তো খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নই যে আমার আত্মজীবনী মানুষের পড়তেই হবে। নিজের উৎসাহ বোধ থেকেই লিখলাম। আমার জীবনের ঘটনা যদি কেউ জানতে চায়, আমার ব্যাপারে জানতে চায়, তাদের এই বইটি ভালো লাগবে।”
অভিনেতা আবুল হায়াতের জন্ম ১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। ১৯৬৯ সাল থেকে টিভি নাটকে অভিনয় করছেন তিনি।
দীর্ঘ অভিনয় জীবনে নাটকের পাশাপাশি ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘জয়যাত্রা’, ‘গহীনে শব্দ’সহ আরো কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৭ সালে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
আবুল হায়াতের প্রথম বই 'আপ্লুত মরু' প্রকাশিত হয় ১৯৯১ সালে। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে তিনি বই লিখে যাচ্ছেন। প্রতি বছর বইমেলায় তার বই থাকে।
২০২৩ সালে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা 'রঞ্জিত গোধূলি'; এছাড়া 'স্বপ্নের বৃষ্টি', 'দুটি মঞ্চনাটক', 'এসো নীপবনে', 'জীবন খাতার ফুট নোট', 'ঢাকামি', 'পলাতক', 'নির্বাচিত গল্প', 'চোখ গেল পাখি', 'শোধ', 'নির্ঝর সন্নিকট', 'জল ডোবা', 'আষাঢ়ে', 'টাইম ব্যাংক' ও 'অপমান' সহ অনেক বই লিখেছেন তিনি।