নির্বাচিত নির্মাতারা দেশের নবীন ও প্রশিক্ষিত চলচ্চিত্রকর্মীদের সাথে নিয়ে আটটি বিভাগীয় শহর থেকে চলতি বছর আটটি মাঝারি দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন।
Published : 07 Jan 2025, 08:20 PM
দেশের আট বিভাগে ঘুরে ঘুরে চলচ্চিত্র কর্মশালা পরিচালনা করা এবং সিনেমা বানানোর জন্য ৮ জন নির্মাতার নাম চূড়ান্ত করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
নির্বাচিত পরিচালকরা হলেন- অনম বিশ্বাস, হুমায়রা বিলকিস, নুহাশ হুমায়ুন, শঙ্খ দাশগুপ্ত, শাহীন দিল রিয়াজ, রবিউল আলম রবি, তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ এবং মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতাদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ সময় সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বলা হয়েছে, নির্বাচিত নির্মাতারা দেশের নবীন ও প্রশিক্ষিত চলচ্চিত্রকর্মীদের সাথে নিয়ে আটটি বিভাগীয় শহর থেকে চলতি বছর আটটি মাঝারি দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন।
সংস্কৃতির বিকাশ ও বিকেন্দ্রীকরণের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রণালয় লিখিত বক্তব্যে বলছে, এর মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার সাথে ঢাকার ও ঢাকার বাইরের সৃজনশীল তরুণ প্রজন্ম যুক্ত হবেন।
এছাড়া দেশের বরেণ্য ও মেধাবী চলচ্চিত্রকারদের কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করবে।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, “এসব কর্মশালা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য কোনো ছক বেঁধে দেওয়া হয়নি। এতে করে শিল্পীরা তাদের নিজস্ব কর্মপদ্ধতি ও সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ প্রযোগ ঘটাতে সমর্থ হবেন এবং শৈল্পিক, রাজনীতিমনস্ক, বৈপ্লবিক এবং তারুণ্যমণ্ডিত শিল্পভাষা তৈরি করতে আরো স্বচ্ছন্দ হবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।"
“বিশেষ করে, যে দীর্ঘ দুঃসময় আর রক্তস্নাত জুলাই বিপ্লব পার হয়ে বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস ফেলছে, তার একটি শৈল্পিক ভাষ্য এসব চলচ্চিত্রে দেখতে পাবো বলে আমরা আশা করি।"
গত ডিসেম্বর মাসে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়। এই সার্চ কমিটির লক্ষ্য ছিল আটজন চলচ্চিত্রকার নির্বাচন করা।
যারা ২০২৫ সালে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মশালা পরিচালনা করবেন এবং কর্মশালায় প্রশিক্ষিত জনবল নিয়ে আটটি চলচ্চিত্র তৈরি করবেন।
সার্চ কমিটির সদস্য সুমন রহমান বলেন, "এই আটজন চলচ্চিত্রকার নির্বাচনের জন্য আমাদের সার্চ কমিটি গত দুই মাসে তিনটি অফলাইন এবং একধিক অনলাইন সভায় মিলিত হয়। কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে প্রশিক্ষক-চলচ্চিত্রকারদের নাম প্রস্তাব করেন।"
তিনি জানিয়েছেন ওই প্রস্তাবনা থেকে ১৬ জনের তালিকা বানানো হয়েছে।
“তাদের সাথে কমিটির সদস্যরা প্রাথমিক আলাপ করেন। পরে তালিকায় থাকা চলচ্চিত্রকারদের ব্যস্ততা, আগ্রহ, জেন্ডার, কাজের ধরন এবং সার্বিক পোর্টফোলিও ইত্যাদি বিবেচনায় আটজনের চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করা হয়।"
লক্ষ্য দুটি
এই উদ্যোগের মাধ্যমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দুটি লক্ষ্য অর্জন করতে চাইছে বলে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়।
একটি হল শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার সাথে ঢাকার ও ঢাকার বাইরের আগ্রহী তরুণ জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ তৈরি করা; তাদের কর্মদক্ষতা তৈরি ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া।
এছাড়া প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতাকে সরাসরি কাজে লাগানোর জন্য ওই প্রশিক্ষকদের সাথেই চলচ্চিত্র নির্মাণে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্য নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
এই উদ্যোগ চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
এছাড়া দেশের বরেণ্য চলচ্চিত্রকারদের আরো অনেকেই পরবর্তী বছরগুলোতে এই উদ্যোগের সাথে যুক্ত হবেন বলেও জানিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
পুরনো খবর...