তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া দ্রুত করার তাগিদ

আলোচনয় সভায় বলা হয়, আইন সংশোধন না হলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না

Shahria BappyShahria Bappyবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2022, 02:30 PM
Updated : 6 Dec 2022, 02:30 PM

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে তামাক সেবন প্রতিরোধ বিষয়ক এক আলোচনায়।

রাজধানীর একটি হোটেলে গত সোমবারের ওই আলোচনায় সংসদ সদস্য, জনস্বাস্থ্যবিদ, চিকিৎসক, অর্থনীতিবিদ এবং তামাকবিরোধী সংগঠনের নেতারা আইন সংশোধনের এই তাগিদ দিয়ে বলেন, তামাকজনিত মৃত্যুর হার কমাতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আইন সংশোধন করা জরুরি।

ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে), প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, ডরপ এবং উন্নয়ন সমন্বয় এই আলোচনার আয়োজক।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রজ্ঞার পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

আলোচনায় বক্তাদের উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের তামাকবিরোধী নানাবিধ কার্যক্রমের ফলে তামাক ব্যবহার ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ (রিলেটিভ রিডাকশন) কমেছে।

স্বল্প সময়ে তামাকের এই ব্যবহার হ্রাস সরকারের সাফল্যের স্বাক্ষর বহন করলেও ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের জন্য তা যথেষ্ট নয় বলে মত দেন আলোচকেরা।

জনসমাগমের স্থান এবং পরিবহনে ধূমপানে নির্ধারিত স্থান সংরক্ষণ, বিক্রয়স্থলে তামাক পণ্য প্রদর্শন, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি (সিএসআর), তামাকপণ্যের খুচরা বিক্রি ও ই-সিগারেটসহ নতুন ধরনের তামাকপণ্য বিক্রির সুযোগ বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কিছু দুর্বলতা বলে আলোচনা সভায় উঠে আসে।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, “বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থাৎ ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। তামাকজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এবং আরো কয়েক লাখ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে।

“তাই আইন সংশোধনের মাধ্যমে তামাক ব্যবহারে কঠোরতা আরোপে যত দেরি হবে তামাকজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে থাকবে।”

তামাকজাত পণ্য উৎপাদক কোম্পানি ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকোতে (বিএটি) সরকারের অংশীদারিত্বের সমালোচনা করে তা দ্রুত প্রত্যাহার করে নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত ও ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সরকারের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য) কাজী জেবুন্নেসা বেগম, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো-ফ্রি কিডস (সিটিএফকে)-এর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়োলোন্ডা রিচার্ডসন, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট বন্দনা শাহ, সিটিএফকে বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক, অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) এবং তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।