সৌর বিদ্যুতে ৮ কোটি ইউরো ঋণ দেবে কেএফডাব্লিউ

৫ বছরের রেয়াতকালসহ ২০ বছরে প্রায় ৩ শতাংশ সুদসহ এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2022, 05:10 PM
Updated : 8 August 2022, 05:10 PM

সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে বাংলাদেশকে ৮ কোটি ইউরো ঋণ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে জার্মানির রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ ও উন্নয়ন ব্যাংক- কেএফডাব্লিউ।

বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এ ঋণের পরিমাণ ৭৭৩ কোটি টাকা। ৫ বছরের রেয়াতকালসহ ২০ বছরে প্রায় ৩ শতাংশ সুদসহ এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

সরকারের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে এ ঋণ প্রস্তাব এসেছে বলে জানিয়েছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

ইআরডি‘র ইউরোপ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব উত্তম কুমার কর্মকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জার্মানভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগী কেএফডাব্লিউ আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৮ কোটি ইউরোর একটি প্রস্তাব দিয়েছে।

“সম্প্রতি এই ঋণ নিয়ে কেএফডাব্লিউর সঙ্গে ইআরডি, ইডকল, পরিকল্পনা কমিশন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসে কেএফডাব্লিউ’র সঙ্গে চুক্তি হতে পারে।”

বৈঠকে থাকা একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রকল্পের জন্য ৮ কোটি ইউরো পর্যন্ত ঋণ দিয়ে তা পরিশোধের জন্য দুটি প্রস্তাব দিয়েছে কেএফডাব্লিউ।

প্রস্তাবের একটিতে দশমিক ২৫ শতাংশ প্রতিশ্রুতি ফি, দশমিক ১০ শতাংশ ব্যবস্থাপনা ফি আর সুদ হার ধরা হয়েছে ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

দ্বিতীয় প্রস্তাবে ৬ মাসের ইউরোপীয় আন্তঃসুদ হারের (ইউরিবর) সঙ্গে দশমিক ৩৫ শতাংশ সুদের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে ৬ মাসে ইউরিবর সুদ হার ০ দশমিক ৭০ শতাংশ।

এ বিষয়ে ইআরডির একজন কর্মকর্তা জানান, বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইডকলসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে আরও কয়েকটি বৈঠক করে কোন প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হবে তা চূড়ান্ত করা হবে।

আগামী নভেম্বরের মধ্যে এ ঋণ চুক্তি হতে পারে বলে জানান তিনি।

সারা দেশে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রায় ৬০ লাখের বেশি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করেছে ইডকল।

কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য ২ হাজার ৩০০ এর বেশি সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে ২৭ টি সোলার মিনিগ্রিড প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের মাঝে ১০ হাজার সোলার সিস্টেম বিতরণ এবং ৪২ হাজার দরিদ্র মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যায়ে রয়েছে।