দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানো, একগুচ্ছ সংস্কারে বাংলাদেশের ভালো দেখছে আইএমএফ

ঋণ অনুমোদনের তিন দিনের মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার ছাড় করেছে সংস্থাটি, যা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2023, 07:45 PM
Updated : 2 Feb 2023, 07:45 PM

ধাপে ধাপে একগুচ্ছ সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে সময়সূচি নির্ধারণ করে বাংলাদেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতায় জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানোকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

জ্বালানি খাতে ভর্তুকি ‘যৌক্তিক’ করার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলোকে স্বাগত জানিয়ে পর্যায়ক্রমে আরও দাম বাড়ানোর তাগাদাও দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি।

আর্থিক খাতসহ সরকারি নীতি নির্ধারণীতে অনেকগুলো সংস্কারের কথা জানিয়ে সংস্থাটি বলছে, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য সামনের দিনে সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক হবে; যা সামাজিক ও উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য আরও অর্থায়নের সুযোগ তৈরি করবে।

বাংলাদেশ সরকারের ঋণ আবেদনের পর আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে তৈরি ‘কান্ট্রি রিপোর্টে’ সংস্থাটি আশা করছে, পর্যায়ক্রমে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অন্যান্য সুযোগ খতিয়ে দেখবে।

আইএমএফের ইসিএফ-ইএফএফ এবং আরএসএফ কর্মসূচির আওতায় ঋণ পেতে বাংলাদেশ এসব সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সম্মতিও দিয়েছে বলে এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে দেশটিকে মধ্যম আয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তাও করবে বলে বলছে সংস্থাটি।

আইএমএফ বলছে, কোভিড পরবর্তী অর্থনীতিতে গতি আসার মধ্যে ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে পণ্যমূল্যের দাম বাড়ার কারণে নেওয়া সাশ্রয়ী ও নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ মানুষের জীবনযাত্রা আরও কঠিন করে তুলবে। এটি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করলেও ভর্তুকি যৌক্তিকীকরণের পদক্ষেপ সামাজিক ও উন্নয়ন কাজের জন্য অর্থ ব্যয়ের সুযোগ তৈরি করবে।

দাম বাড়ানোর পর বিশ্ববাজারের সঙ্গে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম কাছাকাছি এলেও গ্যাস ও বিদ্যুতের ভর্তুকি বেড়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপির শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে বলে এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সবশেষ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সংস্থাটি ধাপে ধাপে গ্যাস ও বিদ্যুতের ভর্তুকি কমানোর চেষ্টার পথে হাঁটতে বলেছে। একই সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী আরও জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছে।

বাংলাদেশের আবেদনের পর আনুষ্ঠানিক আলোচনা ও প্রাথমিক সমঝোতার মাধ্যমে একগুচ্ছ সংস্কার প্রস্তাব এগিয়ে নিতে সম্মতির পর ওয়াশিংটনভিত্তিত ঋণদাতা সংস্থাটির পর্ষদ গত ৩১ জানুয়ারি ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে।

এর তিন দিনের মধ্যে বৃহস্পতিবার ঋণের প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার ছাড়ও করেছে। ওই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হওয়ার তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র।

৪২ মাসের চুক্তিতে ‘অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচিতে’ সহায়তা হিসেবে আইএমএফের এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) এবং এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) থেকে ৩৩০ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ।

এছাড়া সংস্থাটির নবগঠিত রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় বাংলাদেশ পাবে ১৪০ কোটি ডলার। বাংলাদেশই প্রথম এশীয় দেশ, যারা এ তহবিল থেকে ঋণ পাচ্ছে।

২.২ শতাংশ সুদে নেওয়া এই ঋণ আসবে সাত কিস্তিতে। শেষ কিস্তি আসবে ২০২৬ সালে।

ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কটে পড়া বাংলাদেশ রিজার্ভ বাড়াতে এমন অর্থের প্রত্যাশায় ছিল।

আইএমএফ মনে করছে, এ ঋণের সুবাদে দুর্বল হয়ে পড়া রিজার্ভের বিপরীতে বিদেশি মুদ্রার একটি ‘বাফার’ তৈরির সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।

এ ঋণ প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে তৈরি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপোর্টে সংস্থাটি বলছে, এ ঋণ কর্মসূচি চলাকালে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে তেলের দাম সমন্বয়ের একটি ফর্মুলা খুঁজে বের করে তা বাস্তবায়ন করা, যা কোনো ধরনের কাঠামোগত ভর্তুকি না দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

ইসিএফ-ইএফএফ ও আরএসএফের এ কর্মসূচি সামাজিক সুরক্ষার জন্য চলমান অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের কার্যক্রমকে শক্তিশালী ও বিস্তৃত করবে বলে এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আকার বাড়ানো এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের ব্যয় বাড়াতে সরকারের চেষ্টা এ কর্মসূচির আওতায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সামাজিক ও উন্নয়ন কাজের অর্থ ছাড়কে নিশ্চিত করবে।

ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর বাংলাদেশ ডলার সংকটে ও খোলা বাজারে উচ্চ মূল্যের কারণে এলএনজি আমদানি বন্ধ রেখেছে। এতে গ্যাসের সরবরাহে টান পড়েছে। সরকারের কৃচ্ছতা সাধনের অংশ হিসেবে ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আইএমএফের ঋণ অনুমোদনের পর বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারিতে খোলা বাজার থেকে এলএনজি কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। সবশেষ আট মাস আগে এলএনজি কিনেছিল সরকার।

খুচরায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর এক সপ্তাহের মধ্যে সরকার গত জানুয়ারিতে শিল্প ও বাণিজিক এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম সর্বোচ্চ ১৭৮ শতাংশ বাড়ায়। আর সবশেষ ফেব্রুয়ারি থেকে বিদ্যুতের দাম খুচরায় আরও ৫ শতাংশ এবং পাইকারিতে ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা আসে।

এদিকে বিদ্যুতের দাম নিয়মিত সমন্বয়ের ঘোষণা দেওয়ার পর জ্বালানির দাম নির্ধারণে নির্বাহী বিভাগকে ক্ষমতা দিয়ে আইনও সংশোধন করে।

যেসব সংস্কারের পথে হাঁটতে হবে

ঋণদাতা সংস্থাটির ৪২ মাসের এ কর্মসূচি বাংলাদেশে সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনবে, ঝুঁকিতে থাকাদের সুরক্ষা দেবে এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক ও টেকসই প্রৃবদ্ধির সহায়ক হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে ২১টি বিষয়কে তুলে ধরে আইএমএফ বলছে, এজন্য নেওয়া সংস্কারের পদক্ষেপ সামাজিক ও উন্নয়ন কাজের ব্যয় বাড়াতে অধিকতর সুযোগ তৈরি করবে। এতে আর্থিক খাত শক্তিশালী হবে, নীতি কাঠামোর আধুনিকায়ন হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার সক্ষমতা বাড়াবে।

ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছে আইএমএফ। চলতি অর্থবছর থেকে সেগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের কথা বলা হয়েছে কান্ট্রি রিপোর্টে। এতে ধাপে ধাপে এসব পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ঋণের সবশেষ বা সপ্তম কিস্তি পাওয়ার সময় ২০২৬ সালের মধ্যেই এগুলোর কাজ শেষ করতে হবে। এজন্য সময় অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ছয়টি মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে।

সংস্কার কার্যক্রমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-

> ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির আরও শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ রাজস্ব আয় বাড়াতে কর কার্যক্রম গ্রহণ করা।

> জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস ও ভ্যাট ইউনিটে কমপ্লায়েন্স রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিট গঠন।

> নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে জ্বালানি পণ্যে দাম সমন্বয়ের একটি ফর্মুলা খোঁজা এবং তা বাস্তবায়ন করা।

> কারিগরি সহায়তা তহবিলের সুপারিশ বাস্তবায়ন করে বড় শুল্ক খাতের (পিআইটি, সিআইটি, ভ্যাট, কাস্টমস) কর ব্যয় কমিয়ে আনা।

> কর ব্যবস্থার উন্নয়নে ট্যাক্স কমপ্লায়েন্স ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান প্রণয়ন এবং তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা।

> মধ্যমেয়াদী রাজস্ব নীতি গ্রহণ ও ২০২৬ সালের মধ্যে তা বাস্তবায়ন।

> সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনীর কার্যক্রমের আওতা বাড়ানো এবং তা সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা বাড়ানো।

> বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকি বাড়ানোর কার্যক্রম জোরদার এবং ঝুঁকিভিত্তিক পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং সে অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন।

> নন পারফর্মিং লোন- এনপিএল (খেলাপি ঋণে) কমাতে এবং ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনের দুর্বলতা কাটাতে সময় নির্ধারণ করে কৌশল নির্ধারণ।

> আর্থিক প্রতিবেদনে পুনতফশিল করা ঋণ এবং খেলাপি ঋণের তথ্য বার্ষিক আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে অন্তর্ভূক্ত করা।

> সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ, মূলধনের অপর্যপ্ততা ও প্রভিশনিংয়ের বিষয়ে এমওই বাস্তবায়ন।

> আইনি ও নিয়ন্ত্রণমূলক কাঠামোর উন্নয়ন।

> সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে নীতি কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করা।

> দুই ধাপে ১০ খাতের ‘সেক্টর স্ট্যাটেজি পেপারস অ্যান্ড মাল্টি-ইয়ার পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম টুলস’ প্রকাশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম পাঁচটি এবং পরের অর্থবছরে বাকি পাঁচ খাতের জন্য তা করতে হবে।

> বছর অনুযায়ী মধ্যমেয়াদী ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশল যুগপোযোগী করা ও প্রকাশ।

> জাতীয় সঞ্চয়পত্রের (ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেট) বিক্রি কমানোর জন্য একটি কৌশল ঠিক করা এবং তা বাস্তবায়ন করা।

> নগদ অর্থ ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে টিএসএ (ট্রেজারি সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট) এর বাইরে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টকে সংযুক্ত করতে নীতিমালা গ্রহণ।

> সরকারি ব্যায়ের অন্তত ৬০ শতাংশ অর্থ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে করার পদক্ষেপ গ্রহণ।

> রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর ঝুঁকিসহ বার্ষিক ঝুঁকি প্রতিবেদন প্রকাশ।

> বৃহত্তম ৫০ রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের প্রতিবেদন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে প্রকাশ।

> ২০২৩ সালের জুলাইয়ের মধ্যে ‘ইন্টারেস্ট রেট করিডোর সিস্টেম’ গ্রহণ।

> অপারেশনাল টার্গেট হিসেবে পলিসি ইন্টারেস্ট রেট চালু।

> আনুষ্ঠানিক লেনদেনে বাজার নির্ধারিত বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ।

> আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রিজার্ভ হিসাব করার ক্ষেত্রে রপ্তানি তহবিলসহ সব ধরনের তহবিলে বিনিয়োগ করা অর্থ রিজার্ভের বাইরে রাখা। চলতি অর্থবছরেই তা করার কথা বলা হয়েছে।

> প্রতি প্রান্তিকে জিডিপির তথ্য প্রকাশ।

এর আগে সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়ে আইএমএফ ঋণ অনুমোদনের সময় জানিয়েছিল

> ইসিএফ-ইএফএফ ঋণের অর্থ সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখবে এবং দুর্বল হয়ে পড়া রিজার্ভের বিপরীতে বিদেশি মুদ্রার জন্য ‘বাফার’ হিসেবে কাজ করে সংস্কার ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

> করনীতি ও রাজস্ব প্রশাসনের সংস্কারের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের কৌশল বাস্তবায়ন করা হলে তাতে সামাজিক, উন্নয়ন ও জলবায়ু খাতে টেকসইভাবে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

> সরকারি ব্যয়, বিনিয়োগ এবং ঋণ ব্যবস্থাপনা আরও সুসংহত করতে সংস্কার কর্মসূচি নেওয়া হলে তাতে আরও দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও ভালোভাবে সরকারি অর্থ ব্যয় নিশ্চিত করা যাবে।

> আর্থিক খাতের দুর্বলতা কমানো, তদারকি জোরদার এবং সুশাসন ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করার পাশাপাশি পুঁজিবাজারের যথাযথ বিকাশ ঘটানো গেলে তা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থের যোগান দিতে সহায়ক হবে।

> বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য কাঠামোগত সংস্কার, আর্থিক খাতের গভীরতা বৃদ্ধি, মানবোন্নয়ন এবং ব্যবসা পরিবেশের উন্নয়নে সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা আরও বাড়বে।

বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করল আইএমএফ বোর্ড

আইএমএফের ঋণ: দুয়ার খুলবে আরও বিদেশি অর্থায়নের

ঋণ আলোচনা: জানুয়ারিতে ফের আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক

৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে আইএমএফ, প্রাথমিক সমঝোতা

Also Read: আইএমএফের ঋণ: প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ডলার পেল বাংলাদেশ