বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।
Published : 23 Dec 2024, 10:11 PM
আন্তর্জাতিক মুদ্রা মহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে রিজার্ভ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কিনতে থাকায় সাড়ে তিন মাস পর রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা সোমবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে সাড়ে তিন মাস পর রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়ন ডলার পার হলেও ওই অবস্থান ছাড়ায়নি।
সবশেষ হিসাবে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।
আইএমএফের শর্ত মেনে চলতি ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেজন্য ‘ডলার বিক্রি না করে’ উল্টো বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে কিনছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বিপিএম-৬ ও গ্রস হিসাব প্রকাশ করলেও নিট রিজার্ভ কত তা প্রকাশ করে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার কেনার প্রতিক্রিয়ায় আবার টাকার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাটির দাম বেড়ে যাচ্ছে। গত বুধবার কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক রেমিটেন্স কিনেছে ১২৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২৭ টাকায়, যা মাস খানেক আগেও ছিল ১২০ টাকা। মানি এক্সচেঞ্জগুলো ডলার বিক্রি করছে আরও বেশি দরে।
গত মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি দায় পরিশোধের কারণে রিজার্ভ কমে ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে যায়।
এরপর রেমিটেন্স ও রপ্তানির অর্থ যোগ হওয়ায় রিজার্ভ আবার বাড়তে শুরু করে, যদিও তা গত অগাস্ট মাসে সরকার পতনের সময়ের তুলনায় এখনও কম।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের চার দিন আগে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করে। তখন রিজার্ভে ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার, ২১ অগাস্টও তাই ছিল।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। কিন্তু মহামারী কমে আসার মধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি আর খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়া এবং এরপর ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হলে বেড়ে যায় আমদানি খরচ। এরপর ২০২২ থেকে কমতে থাকে রিজার্ভ।
আরও পড়ুন-