করোনাভাইরাস মহামারীর ধকল সামলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বাজেটে প্রাক্কলন অনুযায়ী ৮ দশমিক ২ শতাংশ অর্জিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
Published : 16 Sep 2020, 12:34 AM
মহামারীর ধাক্কা সামলে বাংলাদেশের অর্থনীতি অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর কথা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি দেওয়ার পর অর্থমন্ত্রীর এই আশাবাদ প্রকাশের খবর জানিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এসেছে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে।
এডিবির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের সেপ্টেম্বর আপডেটে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির আভাস দেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “বাঙালি বীরের জাতি। শত বাধা বিপত্তিকে মারিয়ে এগিয়ে চলাই এদের স্বভাব। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। করোনার মধ্যে এই অর্জনই সেটার প্রমাণ করে।
“আমাদের রেমিটেন্সের অবস্থা অত্যন্ত ভালো, দুই মাসে (জুলাই-অগাস্ট) ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্য পুনরায় আশানুরূপ অবস্থানে আসতে শুরু করেছে। তাই সবকিছু মিলে আশা করা যায়, আমাদের চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রাক্কলন অনুযায়ী ৮ দশমিক ১ শতাংশ বা ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।”
মুস্তফা কামাল বলেন, এডিবির পূর্বাভাস বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এ অঞ্চলে চীন ও ভারতের পরেই অবস্থান করছে। যেখানে কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডের কারও অবস্থান বাংলাদেশের উপরে নয়। “আশা করা যায়, এই অর্থবছরেও এশিয়ার মধ্যে আমাদের অবস্থান সবার উপরে থাকবে।”
প্রতিবেদনে এডিবি বলছে, উৎপাদনের গতি বাড়ায় এবং বাংলাদেশি পণ্যের ক্রেতা দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০২১ সালে মূল্যস্ফীতিকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে এবং চলতি হিসাবের (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট) ঘাটতিকে জিডিপির ১ দশমিক ১ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখতে পারবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
তবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এই ধারা টেকসই করতে সামষ্টিক অর্থনীতির বিচক্ষণ ব্যবস্থাপনা এবং সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা কর্মসূচির বাস্তবায়নে জোর দেওয়ার পরামর্শ এসেছে প্রতিবেদনে।