এর আগে এর চেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছিল গত জুনে।
Published : 29 Dec 2024, 09:28 PM
চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২৮ দিনেই রেমিটেন্স বাবদে দেশে এসেছে ২ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ডিসেম্বর মাসের এখনও তিন দিন বাকি। সেই হিসাবে বছরের শেষ মাসে রেমিটেন্সের পরিমাণ আরো বাড়বে।
এর আগে এর চেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছিল গত জুনে। ওই মাসে ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রাবাসীরা। আর গত নভেম্বর মাসে এসেছিল ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা রোববার সাংবাদিকদের বলেন, চলতি ডিসেম্বরের ২৮ দিনে রেমিটেন্স এসেছে ২ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২৩ সালের এ সময়ে রেমিটেন্স এসেছিল ১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার।
অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার ডিসেম্বরে রেমিটেন্সের বাড়ছে ২১ শতাংশের বেশি।
চলতি বছর এপ্রিল থেকে দুই বিলিয়ন ডলার পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। মাঝে জুলাইতে শুধু তা এর নিচে নেমে যায়।
আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি প্রবাসীরা ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠালে প্রতি ডলারে পাচ্ছেন ১২০ টাকার বেশি। এ কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স বাড়ছে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।
সিটিজেনস ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাসুম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ব্যাংকিং চ্যানেলে তো ডলার দর বেড়েছে। এজন্য মূলত রেমিটেন্স ব্যাংকিং চ্যানেলে বেশি আসছে। আর সরকার পতনের পর প্রবাসীদের এক রকম আস্থা আসছে। আস্থা অনেক বড় একটি বিষয়। মাঝে তো ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাবে না এমন বক্তব্য সোশাল মিডিয়াতে প্রচার হয়েছিল। কারণ অনাস্থা তৈরি হয়েছিল। পতনের পর আবার আস্থা বাড়ছে।”
চলতি বছর মে মাসে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে ডলারের দর এক লাফে ১১০ থেকে ১১৭ টাকায় উঠে যায়। পরে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্সের দর নির্ধারণ করা হয় ১২০ টাকা।
রেমিটেন্স পাঠানোর ইতিবাচক ধারায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে এসেছে ১১ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে রেমিটেন্স বেড়েছে ২৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।
মাঝে কয়েক মাস ডলার বাজার স্থিতিশীল থাকার পর চলতি মাসে ডলার দরে আবার অস্থিরতা তৈরি হয়। তাতে ডলার দর ওঠে যায় ১২৮ টাকার কাছাকাছি।
তাতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে ১৩টি ব্যাংকের কাছে ব্যখ্যাও চায় কেন নির্ধারিত দরের চাইতে এত বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ব্যাংকগুলো ব্যাখ্যা দিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১২৩ টাকা ওপর রেমিটেন্স না কেনার নির্দেশে দেয়।