Published : 29 Dec 2023, 12:27 AM
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে বিদেশি ঋণের অর্থছাড় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে ১৪ শতাংশ।
এ সময়ে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে ২১১ কোটি ৭০ লাখ ডলার ঋণ ও অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ওয়েবসাইটে হালনাগাদ এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে বিদেশি অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ২৪৬ কোটি ২৪ লাখ ডলার।
অর্থছাড় কমলেও জুলাই থেকে নভেম্বর সময়ে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে। গত অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত যেখানে ৮৮ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল সেখানে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে পরিশোধ করা হয়েছে ১৩৩ কোটি ২১ লাখ ডলার। শতকরা হিসাবে যা প্রায় ৩৪ শতাংশ বেশি।
তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে নতুন করে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১২গুণ বেড়েছে।
এ সময়ে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে প্রায় ৫৮৫ কোটি ৯১ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত যা ছিল ৪৬ কোটি ১৩ লাখ ডলারের।
প্রকল্পের অর্থছাড় নির্ভর করে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতির ওপর। প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাড়লে ঋণ ছাড়ও বাড়ে। তবে এ বছর নভেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন ধীর হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে অর্থছাড়ে।
নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে এডিপি বরাদ্দের মাত্র ১৭ দশমিক ০৬ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। গত আট বছরের মধ্যে এ হার সর্বনিম্ম। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নভেম্বর পর্যন্ত এর চেয়ে কম মাত্র ১৭ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছিল।