Published : 28 Apr 2025, 09:24 PM
চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২২৭ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ হিসাব দেওয়া হয়েছে।
আগের মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে রেমিটেন্স আসে ২৯৪ কোটি ডলার। আর পুরো মাসে আসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স; ৩২৯ কোটি ডলার।
সে হিসাবে চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে আগের মাসের একই সময়ের চেয়ে রেমিটেন্স কমেছে ২২ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে ১৭২ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। সে হিসাবে পরের এক সপ্তাহে এসেছে ৫৫ কোটি ডলার।
ব্যাংকাররা মনে করেন, আগের মাসে বেশি রেমিটেন্স আসার অন্যতম কারণ ছিল ঈদ। প্রতিবছরই রোজার মাসে তুলনামূলক বেশি অর্থ পাঠান প্রবাসীরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে; ২৬৪ কোটি ডলার।
এরপর তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে; ২৫৩ কোটি ডলার।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডলার মার্কেটে অস্থিরতা কমেছে। কারণ হুন্ডি ব্যবসাটা কমেছে। হুন্ডি আর ব্যাংকিং চ্যানেলের পার্থক্য ৫০ থেকে ৬০ পয়সা, আগে যা ছিলসাত থেকে আট টাকা।
আরেকটি বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান বলেন, ব্যাংকগুলো আগের মত রেমিটেন্সের দরে হেরফের করছে না। সর্বোচ্চ দর ১২২ টাকা দেওয়া হচ্ছে।
চলতি বছর জানুয়ারির শেষ দিকে ডলারের দর বাড়তে বাড়তে ১২৮ টাকায় উঠে যায়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো ১২৬ দরেও রেমিটেন্স কেনে বলে সংবাদমাধ্যমে আসে।
এমন প্রেক্ষাপটে জানুয়ারির শেষ দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্সের দর সর্বোচ্চ ১২২ টাকা ঠিক করে দেয়। তবে ব্যাংকগুলো এক টাকা পর্যন্ত বেশি দাম দিয়ে ডলার কেনাবেচা করতে পারে।