Published : 09 Aug 2023, 09:22 PM
দেশে শিগগিরই গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) এর টিকা উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) পরিচালনা বোর্ডের ৪৬তম সভায় তিনি জানান, বিএলআরআই সম্প্রতি এ রোগের ভ্যাকসিন সিড উদ্ভাবন করেছে। মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষা নিরীক্ষাও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
”শিগগিরই এ ভ্যাকসিন সিড প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই সিডের মাধ্যমে লাম্পি স্কিন ডিজিজের বহুসংখ্যক টিকা উৎপাদনে সক্ষম হবে। এ টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে সহজেই লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।”
আমদানি করা পশুর মাধ্যমে প্রায় এক দশক আগে দেশে প্রথম লাম্পি স্কিন ডিজিজ শনাক্ত হয়; তবে গত পাঁচ বছরে এর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
কুড়িগ্রাম ও জয়পুরহাটে গরুর লাম্পি স্কিন রোগের প্রকোপ
কোরবানির ঈদের আগে গরুর লাম্পি স্কিন রোগে খামারিরা শঙ্কায়
গরুর লাম্পি স্কিন রোগে আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ
গরুর লাম্পি স্কিন: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে ‘জরুরি’ নির্দেশনা
এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীর প্রথমে গরম হয়ে জ্বর উঠে যায়। তারপর শরীরের কয়েক জায়গায় ছোট ছোট গুটি উঠতে শুরু করে; যা একপর্যায়ে ধীরে ধীরে সারা শরীরেই ছড়িয়ে পড়ে।
মাথা, ঘাড় ও পায়ে গুটি বেশি দেখা দেয়। এ সময় গরুর মুখ দিয়ে লালা পড়া শুরু হয় এবং গরুর খাবারে অনীহা দেখা দেয়, গরু দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে এ রোগে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত পশুর মধ্যে ২০ শতাংশ মারা যায়; বাকি ৮০ শতাংশ ভালো হয়ে গেলেও নানা জটিলতা থেকে যায়। রোগটির নির্দিষ্ট কোনো ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা না থাকায় গরুকে মূলত জলবসন্তের টিকাই দেওয়া হত এতদিন। সুস্থ গরুকে এ রোগ থেকে বাঁচাতে খামার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে খামারিদের পরামর্শ দিতেনন চিকিৎসকরা।
বিএলআরআই পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা শ ম রেজাউল করিম বলেন, “লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। দেশের যেখানেই গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ দেখা যাবে, সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”