সুদ ও আসল পরিশোধ বেড়ে প্রথমবারের মত ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
Published : 29 Jul 2024, 08:57 PM
উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রাখতে ও বৈদেশিক মুদ্রার চাপ সহনীয় রাখতে উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে গত অর্থবছরে ৯৮৬ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি।
তবে যে হারে অর্থছাড় বেড়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি হারে সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে। আগের অর্থবছরের চেয়ে সুদ পরিশোধ বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। সুদ ও আসল পরিশোধও বেড়ে প্রথমবারের মত ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সোমবার গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
এ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত অর্থবছরে আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে ৬৫ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ছাড় হয়েছে, শতাংশের হিসাবে যা ৭ শতাংশ বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯২১ কোটি ডলার ঋণ ও অনুদান দিয়েছিল উন্নয়ন সহযোগী, ঋণদাতা সংস্থা ও দেশগুলো।
এছাড়া গত অর্থবছরে ১ হাজার ৭২ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার প্রতিশ্রুতি এসেছে উন্নয়ন সহযোগী ও দেশ থেকে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে যা ছিল ৮৭৯ কোটি ডলার। এ হিসাবে এক বছরে প্রতিশ্রুতি বেড়েছে প্রায় ২২ শতাংশ।
অন্যদিকে ঋণ পরিশোধের ব্যয়ও বেড়েছে গত অর্থবছরে। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে বাজারভিত্তিক সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি ঋণ পরিশোধের ব্যয় বেড়েছে এক বছরে ২৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অর্থবছরে বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল মিলিয়ে বাংলাদেশকে প্রায় ৩৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে। এতে করে প্রথমবারের মত এক বছরে বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেল।
পরিশোধ করা এ অর্থের মধ্যে আসল ২০১ কোটি ডলার এবং সুদের পরিমাণ প্রায় ১৩৫ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সুদ ও আসল মিলিয়ে বাংলাদেশ ২৬৮ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল ।
এ সময় সুদ পরিশোধই বেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সুদের পরিশোধের পরিমাণ ছিল সাড়ে ৯৩ কোটি ডলার।