খোলা বাজারের চেয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দর বেশি, বলছেন এক ব্যাংকের ডিএমডি।
Published : 01 Oct 2024, 09:27 PM
দেশে স্বজনদের কাছে প্রবাসীদের পাঠানো আয়ে উল্লম্ফন হয়েছে সদ্য সমাপ্ত মাস সেপ্টেম্বরে; আগের বছরের একই মাসের চেয়ে রেমিটেন্স বেড়েছে ৮০ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
টানা দ্বিতীয় মাসে দুই বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আসার ধারায় গত সেপ্টেম্বরে এসেছে ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ১ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা সেপ্টেম্বরে প্রবাসীদের আয় পাঠানোর তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরই রেমিটেন্স এসেছে ৯৯ মিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮০ শতাংশের বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স এসেছিল ১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।
আবার আগের মাস অগাস্টের চেয়ে বেড়েছে ৮ দশমিক ১০ দশমিক শতাংশ। সরকার পতন আন্দোলনের ধাক্কা কাটিয়ে অগাস্টে রেমিটেন্স এসেছিল ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদিও সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার এবং সরকার পতনের আন্দোলনের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অগাস্টের প্রথম ৯ দিন ঠিক মত রেমিটেন্স আসেনি।
এর আগে চলতি বছর জুন মাসে ৪৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে। ওই মাসে ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল।
চলতি বছর মে মাসে ডলারের বিনিময় হার ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে ডলারের দর এক লাফে ১১০ থেকে ১১৭ টাকায় উঠে যায়। এতে ব্যাংকিং চ্যানেলে বাড়তে থাকে রেমিটেন্স।
এ বিষয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ব্যাংকিং খাতে আস্থা বাড়ছে। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলার পাঠাচ্ছে। তাছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলার দর তুলনামূলকভাবে ভালো।"
নাম প্রকাশ না করে আরেক ব্যাংকের ডেপুটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) বলেন, খোলাবাজারে ডলারের দাম ১২১ টাকা ৫০ পয়সা। প্রণোদনাসহ ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলার দর ১২২ টাকা ৫০ পয়সা। যে কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলেই ডলার আসছে বেশি।
“আগে যারা এই বাজার নিয়ন্ত্রণ করত তাদের নাম আমরা জানতাম কিন্তু উচ্চারণ করতে পারতাম না। কিন্তু তারা এখন কেউ নাই। তাই তাদের প্রভাব ডলার বাজারে আপাতত পড়ছে না।“