এ পদ্ধতি কার্যকর হবে ১ জুলাই থেকে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Published : 21 Jun 2023, 12:24 AM
ওভারনাইট বা এক দিন মেয়াদী রেপো সুদহার হিসেবে পরিচিত রেপোকে ‘নীতি সুদহার’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক; যা এখন থেকে নীতি সুদহার করিডরের আওতায় নির্ধারণ করা হবে।
মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, গত ১১ জুন মনিটরি পলিসি কমিটির সভায় নীতি সুদহার করিডর চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আওতায় নীতি সুদহার বা রেপোর নিম্ন ও ঊর্ধসীমা ঠিক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সাড়ে ৬ শতাংশকে নিম্ন সীমা ও সাড়ে ৮ শতাংশকে ঊর্ধ্বসীমা ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নীতি সুদহারের এ ঊর্ধ্বসীমার মধ্যেই কলমানিতে লেনদেন করতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
এতে কলমানিতে সুদহার আগামী ১ জুলাই থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ শতাংশ উঠতে পারবে। এ সুদহারে কোনো ব্যাংক টাকা না পেলে তাৎক্ষণিক সাড়ে ৮ শতাংশ সুদে ওই ব্যাংকে তারল্যের যোগান দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সাম্প্রতিক সময়ে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের কাছ থেকে কলমানিতে ধার নেওয়া সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশে উঠেছিল।
গত রোববার ঘোষিত আগামী জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের মুদ্রানীতিতেও ‘সুদহার করিডর’ চালুর করার কথা বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবারের সার্কুলারে সুদহার করিডোর সম্পর্কে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে জানানো হয়েছে, নীতি সুদহার হিসেবে রেপোর (পুনঃক্রয় চুক্তি) সুদহার ৬ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে।
এর আগে গত জানুয়ারির মুদ্রানীতিতে এক দিন মেয়াদী রেপোর সুদ হার ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬ শতাংশ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
অপরদিকে স্পেশাল রেপো সুদহারকে নীতি সুদহার করিডরের ঊর্ধ্বসীমা ধরা হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে স্পেশাল রেপো সুদহার এর নাম বদলে হবে স্টান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ)। এটির সুদহার বিদ্যমান ৯ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমে সাড়ে ৮ শতাংশ নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ সুদহার করিডরের নিম্নসীমা হবে রিভার্স রোপো সুদহার। এটি নাম বদলে হবে স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ)। রিভার্স রেপোর হার বিদ্যমান ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সাড়ে ৪ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মুদ্রানীতিতে।
সাকুর্লারে বলা হয়েছে, নীতি সুদহারের উপরে ২০০ বেসিস পয়েন্ট যোগ করে এসএলএফ সুদহার এবং নিচে ২০০ বেসিস পয়েন্ট বিয়োগ করে এসডিএফ সুদহার নির্ধারিত হবে।
তারল্যের প্রয়োজনে বাণিজ্যিক ব্যাংক যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার করে তখন তার সুদহার ঠিক হয় রেপোর মাধ্যমে। অপর দিকে রিভার্স রেপোর মাধ্যমে বাংকগুলো তাদের উদ্বৃত্ত অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে যে সুদহারে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেয় তাকে বলে ব্যাংক রেট।