৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোয় এখন বিদেশি মুদ্রায় বিনিয়োগে বিপরীতে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
Published : 01 Feb 2024, 07:58 PM
স্থানীয় মুদ্রায় সুদহার বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশি মুদ্রায় ঋণের খরচও ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে স্বল্প মেয়াদি বিদেশি মুদ্রায় ঋণ পেতে ব্যবসায়ীদের খরচ আরেকটু বাড়বে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রায় স্বল্প মেয়াদে বিনিয়োগে সুদহার হবে এসওএফআর, ইউরোবর এর মতো আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্কের সঙ্গে সর্বোচ্চ চার শতাংশ, আগে যা ছিল সাড়ে ৩ শতাংশ।
এতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এসওএফআর (সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট, আগে যা ছিল লাইবর) রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ যোগ করে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সার্কুলার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, “বৈশ্বিক বাজার চিত্র ও সুদহার বিবেচনায় বার্ষিক সুদহার চার শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।”
সবশেষ গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এ বিদেশি মুদ্রায় ঋণ সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সাড়ে ৩ শতাংশ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারও এক মাস আগে অগাস্টের ১৬ তারিখে এমন ঋণের সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক কয়েক মাসে মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক অভ্যন্তরীণ সুদহার বাড়িয়ে চলছে। মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশে না নেমে আসা পর্যন্ত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করার কথা গত মুদ্রানীতিতেও বলেছেন গভর্নর।
বিদেশি ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বল্প মেয়াদে ট্রেড ফাইন্যান্সের বেলায় এ সুদহার নির্ধারণ করে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার এক বছর মেয়াদের জন্য এসওএফআর সুদহার ছিল চার দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর সঙ্গে চার শতাংশ সুদ যোগ করলে বিদেশি মুদ্রায় বিনিয়োগে বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ সুদ যোগ করতে পারবে যে কোনো ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ইউরো মুদ্রায় বিনিয়োগে ইউরোবর, পাউন্ডের বেলায় সোনিয়া (স্টারলিং ওভারনাইট ইনডেক্স এভারেজ) এর সুদহারকে রেফারেন্স রেট হিসেবে নিতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
এর আগে বিদেশি মুদ্রায় আমানত আনতেও সংশ্লিষ্ট দেশের মুদ্রার সুদহারকে বেঞ্চমার্ক ধরা হত। গত ২০২২ সালের অগাস্ট থেকে ঋণ দেওয়ার বেলাতেও তা অনুসরণ করা শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে বিদেশি মুদ্রায় স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৯৬ কোটি ৫২ লাখ ডলারের সমপরিমাণ।
ব্যবসায়ীরা ডলার ছাড়াও ইউরো, পাউন্ড, রুবলসহ বিভিন্ন মুদ্রায় ঋণ নিয়ে থাকে।