“রেমিটেন্স ও রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ভালো থাকায় রিজার্ভ আবার বাড়তে শুরু করেছে।”
Published : 13 Dec 2024, 12:39 AM
বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ আবার ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
গত মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি দায় পরিশোধের কারণে রিজার্ভ কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ অনুযায়ী বুধবার শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে তা ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর রিজার্ভ ছিল ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, রেমিটেন্স ও রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ভালো থাকায় রিজার্ভ আবার বাড়তে শুরু করেছে।
রিজার্ভ ওঠানামা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিজার্ভ চলমান একটি বিষয়। একবার কমবে, আবার বাড়বে। তবে এখন প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ইতিবাচক আছে, রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। শিগগির ২০ বিলিয়ন ডলারে রিজার্ভ উন্নীত হওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।”
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে রিজার্ভ গণনা করছে।
আইএমএফের হিসাবায়ন পদ্ধতি ছাড়াও রিজার্ভের আরো দুটি হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। একটি হল- বিদেশি মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সহজ শর্তের ঋণসহ বেশ কয়েকটি তহবিল। অন্যটি হিসাবটি হল- ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের চার দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করে।
ওই হিসাব অনুযায়ী, ৩০ জুলাই তা ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ২১ অগাস্টও ছিল তাই।
পরে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধ শেষে ১২ সেপ্টেম্বর তা নেমে হয় ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে। তিন সপ্তাহ পর ২ অক্টোবর তা কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৭৬ বিলিয়নে।
পুরনো খবর:
সপ্তাহ ঘুরে সামান্য বাড়ল, রিজার্ভ এখন ১৯.৮৭ বিলিয়ন