Published : 28 Aug 2024, 11:29 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে স্থবিরতার মধ্যে মাসটিতে বিদেশি ঋণ ছাড়েও বড় ধাক্কা এসেছে।
উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রাখতে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ বিদেশি অর্থ এসেছে জুলাইয়ে, তার চেয়ে বেশি পরিমাণে গেছে ঋণ শোধ করতেই।
সাধারণত অর্থ ছাড়ের তুলনায় ঋণ পরিশোধের পরিমাণ কমই থাকে, যার পরিষ্কার ছাপ রয়েছে ২০২৩-২৪ ও তার আগের অর্থবছরেও।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ-ইআরডি বুধবার জুলাইয়ের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
তাতে দেখা যাচ্ছে, জুলাইয়ে সব মিলিয়ে ৩৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলার বিদেশ থেকে দেশে এসেছে।
জুলাইয়ে বিদেশি ঋণ ছাড়ের কথা আগের সব চুক্তি অনুযায়ী। ফলে আন্দোলনের সঙ্গে ছাড় হওয়া ঋণের সে অর্থে সম্পর্ক না থাকলেও হতাশার চিত্র এই যে, মাসটিতে নতুন করে বিদেশি ঋণের কোনো প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ৩৮ কোটি ৫৬ লাখ ডলারের বেশি, যার মধ্যে ঋণের আসল ২৬ কোটি ডলার এবং সুদ ১২ কোটি ডলারের বেশি।
আগের বছরের একই সময়ে বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ সরকারকে ২৫ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল।
জুলাইয়ে বিদেশি ঋণের কোনো প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি। তবে এ সময় ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে বিদেশি ঋণ ছাড় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছিল ১৭ দশমিক ১৫ শতাংশ।
গত বছরের জুলাইয়ে প্রতিশ্রুত অর্থ থেকে ৪০ কোটি ৫৭ লাখ ডলার ছাড় করেছে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী এবং ঋণদাতা সংস্থা ও দেশ।
২০২২-২৩ অর্থবছরের একই মাসে ছাড় হয়েছিল ৪৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
গত অর্থবছরে ৯৮৬ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। এ সময় বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল মিলিয়ে বাংলাদেশকে প্রায় ৩৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়।
আরও পড়ুন