আদানি গ্রুপের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Published : 02 Feb 2023, 11:43 PM
ছয় বছর আগে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে করা চুক্তি পর্যালোচনায় বাংলাদেশের তরফে সম্প্রতি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
কয়লার আমদানি মূল্য নিয়ে আলোচনার জন্য ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে বল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
তিনি বলেছেন, “কয়লার আমদানি মূল্যের জন্য আমরা নিউক্যাসেল সূচক অনুসরণ করেছি। পায়রা বন্দরের মতো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আমরা কয়লাতে এখন ছাড়কৃত মূল্য পাচ্ছি। আদানির ক্ষেত্রেও তা পেতে আমরা আলোচনার পথে হাঁটতে চাই।”
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে রয়টার্স যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে আদানি পাওয়ার সাড়া দেয়নি।
২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগ ও আদানি পাওয়ারের মধ্যে একটি ক্রয় চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় আদানি ঝাড়খণ্ডে ১৬০০ মেগাওয়াটেরএই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আগামী মার্চ নাগাদ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ পাবে বলে গত মাসের শুরুতে জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
ভারতের বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের পাশেই ঝাড়খণ্ড রাজ্য। সেখান থেকে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ার সঞ্চালন লাইন হয়ে আসবে আদানির বিদ্যুৎ।
তবে ওই বিদ্যুতের দাম তুলনামূলক বেশি বলে বেশ কিছুদিন ধরে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে। এজন্য দেশের অন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের তুলনায় ভারতের আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার দামের পার্থক্য টন প্রতি একশ ডলারের বেশি হওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে।