মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালুর বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত এ নির্দেশ দেয়।
এর আগে তাদের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ থাকলেও মালামাল পায়নি পুলিশ। তাদের দুজনের হদিসও মেলেনি।
পত্রিকায় এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে জানানো হবে, তারা আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে মামলার বিচার কাজ শুরু হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগামী ৬ ডিসেম্বর এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য আছে।
মামলার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলার দুই আসামির বিরুদ্ধে আগে থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। পরে তাদের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়।
“যেহেতু তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি তাই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন আদালত।”
বুধবার শুনানি হলেও এদিন আদালতে বাবুল আক্তারকে হাজির করা হয়নি।
গত ১০ অক্টোবর স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু। এদের মধ্যে মুছা ও কালু পলাতক।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার কিছুদিন পর সংবাদ সম্মেলন করে মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার দাবি করেন, মিতু হত্যার সপ্তাহখানেক পর তার স্বামীকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে মুছার আর কোনো হদিস মেলেনি।
আরও পড়ুন