নিজের মামলাতেই গ্রেপ্তার বাবুল আক্তার

চট্টগ্রামের মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার যে মামলা করেছিলেন, তাকেই তাতে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। 

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2022, 10:56 AM
Updated : 9 Jan 2022, 10:56 AM

মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) করা আবেদনে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আবদুল হালিম রোববার বাবুলের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।

মিতু হত্যার ঘটনায় তার বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে আছেন বাবুল আক্তার।

তার আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্তকারী সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে আদালত বাবুল আক্তারকে নিজের করা মামলাতেই গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছেন।

“অথচ তিনি একই ঘটনায় মিতুর বাবার করা অন্য মামলায় গ্রেপ্তার আছেন। একই ঘটনায় একসঙ্গে দুটি মামলা চলতে পারে না। আবার একই ঘটনায় দুই মামলাতেই গ্রেপ্তার কী করে হয়? শুনানিতে সবই বলেছি।”

এ বিষয়ে সুরাহার জন্য হাই কোর্টে যাবেন জানিয়ে বাবুলের আইনজীবী বলেন, “যা হবার উচ্চ আদালতে হবে।”

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন তখনকার পুলিশ সুপার বাবুল। তার ঠিক আগেই চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে ছিলেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন বাবুল আক্তার। কয়েক মাস পর পুলিশের চাকরি ছাড়তে হয়েছিল তাকে।

তদন্ত করতে গিয়ে খোদ বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে গত বছরের মে মাসে ওই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পিবিআই। এরপরই বাবুলকে আসামি করে নতুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।

হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর গতবছর মে মাসে ওই মামলায় বাবুলকে পিবিআই হেফাজতে নিয়ে পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

তবে পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সিআইডি বা অন্য কোনো সংস্থার কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মাধ্যমে মিতু হত্যার ঘটনায় নিজের করা মামলাটির পুনঃতদন্ত চেয়েছিলেন বাবুল আক্তার।

সে আবেদনের শুনানি করে বিচারক গত ৩ নভেম্বর পিবিআইকে অধিকতর তদন্ত করার আদেশ দেন।

আরও পড়ুন