ওই ঘটনায় দগ্ধ আরো তিনজন চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
Published : 28 Feb 2024, 01:04 PM
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্পে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ আরও এক শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
সোহেল নামের সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী ছেলেটি বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু আইসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান।
চার দিন আগে ভাসানচরের ওই ঘটনায় দগ্ধ নয়জনের মধ্যে এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হল। তিনজন এখনও চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, সোহেলের ৫২ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল এবং শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত ছিল।
পুলিশ জানায়, ভাসানচরের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা রোহিঙ্গারা বিভিন্ন এনজিওর সরবরাহ করা সিলিন্ডারের গ্যাসে রান্নার কাজ করেন। আশ্রয়ণ প্রকল্প ৩ এর ৮১ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা সফি আলম গত শনিবার তার খালি সিলিন্ডার জমা দেওয়ার আগে বারান্দায় বসে মুখ খুলে দেখছিলেন। তখন সিলিন্ডারের নিচে জমা গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
সফির প্রতিবেশীর ঘরে তখন রান্না চলছিল। ফলে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসে আগুন ধরে যায়। তাতে ৫ শিশু, দুজন নারী এবং দুজন পুরুষ দগ্ধ হন।
তাদের মধ্যে সাতজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হলে রাসেল নামের তিন বছর বয়সী একটি শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
বাকিদের মধ্যে সাড়ে ৩ বছর বয়সী মোবাশ্বেরা সোমবার সকালে এবং ৫ বছর বয়সী রুবি আলম সেদিন বিকালে মারা যায়।
যে তিনজন এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদের মধ্যে আমেনা খাতুনের (২৬) শরীরের ৮ শতাংশ, জুবাইদার (২৫) শরীরের ২৫ শতাংশ, রুশমিনার (৩) শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
পুরনো খবর
ভাসানচরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ ৯ রোহিঙ্গার মধ্যে এক শিশুর মৃত্যু