“দলটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য গতানুগতিক কিছু কর্মসূচি পালন করে,” বলেন তিনি।
Published : 21 Apr 2024, 12:17 AM
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিএনপি তাদের কর্মী দাবি করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার রাতে নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত আন্তর্জাতিক উইম্যান এসএমই এক্সপোর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চুরি-ডাকাতি ছিনতাই, রাহাজানিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধে গ্রেপ্তার হয়।
"বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ও রিজভী সাহেবরা গ্রেপ্তারের যে হিসাব দিচ্ছেন, তাতে মনে হচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত যারা প্রতিদিন গ্রেপ্তার হচ্ছে, পুলিশের খাতায় যারা অপরাধী, তাদেরকে বিএনপির কর্মী বলে দাবি করছে। এটাই বিএনপি নেতাদের কথাই মনে হচ্ছে।"
বিএনপির কোনো নেতা কিংবা কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয়নি মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, "তাদের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলো গাড়ি পোড়ানোর মামলা, পুলিশের এবং মানুষের উপর হামলার মামলা, এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মামলা। এই সমস্ত মামলায় তারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে।"
বিএনপি নিজের দলটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য গতানুগতিক কিছু কর্মসূচি পালন করে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "গাড়ি যখন বসে যায় তখন সেটির ব্যাটারি মাঝে মধ্যে স্টার্টে রাখতে হয়। বিএনপিও পুরনো গাড়ির মত বসে গেছে। বসে যাওয়াতে তারা গাড়ি স্টার্টে রাখার জন্য মাঝেমধ্যে দলটাকে স্টার্ট দেই। এবং সেজন্য কিছু গতানুগতিক কর্মসূচি পালন করে।"
সরকার চোরাবালিতে দাঁড়িয়ে আছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, "আমরা চোরাবালির উপর দাঁড়িয়ে আছি, এটা আমরা গত ১৫ বছর ধরে শুনতে পাচ্ছি। চোরাবালিটা এত শক্ত যে, তাদেরকে আরও বহু বছর অপেক্ষা করতে হবে।"
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর পালিয়ে আসা সদস্যদের ফেরার বিষয়ে তিনি বলেন, "আমাদের সাথে যেটি আলোচনা হয়েছে তাদের ২২ এপ্রিল নিয়ে যাবার কথা রয়েছে, তবে সেটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করবে। সেখানকার পরিস্থিতি, তাদেরকে পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া কতটুকু নিরাপদ, একই সাথে সমুদ্র এবং আবহাওয়া পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।"
এর আগে প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে দেওয়া বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, "বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশে নারীর যে ক্ষমতায়ন হয়েছে গত ১৫ বছরে সেটি পৃথিবীর সামনে একটি উদাহরণ। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান সমগ্র পৃথিবীতে পঞ্চম।
" প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের অবস্থান দ্বিতীয়, অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ার পরে আমাদের অবস্থান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার নারী, রেকর্ড সংখ্যক নারী মন্ত্রী সভার সদস্য। এছাড়া আমাদের স্থানীয় সরকার পর্ষদে ত্রিশ ভাগ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত।"
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ বছর আমরা বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছি হস্তশিল্পকে। এসএমই এবং নারী উদ্যোক্তারা এই বর্ষপণ্যটাকে গ্রাম থেকে শহরে, শহর থেকে সারাদেশে এবং ই-কমার্সের মাধ্যম সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে।
"সেই লক্ষ্যে আমরা ‘একটি গ্রাম একটি পণ্য’ এই স্লোগানে সারা বাংলাদেশ
থেকে গ্রাম পর্যায়ে যে হস্তশিল্পগুলো আছে, সেগুলোকে বাছাই করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহযোগীতার মাধ্যমে এবং বাজারজাত সহজীকরণের মাধ্যমে তাদেরকে দেশে বিদেশে পৌঁছে দিতে চাই। "
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চিটাগাং উইম্যান চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী।
বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য দিলোয়ারা ইউসুফ ও শামীমা হারুন লুবনা, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি চেমন আরা তৈয়ব। স্বাগত বক্তব্য দেন চিটাগাং উইমেন চেম্বারের সহ-সভাপতি ও এক্সপোর চেয়ারম্যান আবিদা মোস্তফা।