গাড়ির ধরন অনুযায়ী টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা।
Published : 27 Oct 2023, 11:44 PM
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর দুই প্রান্তকে যুক্ত করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল খুলে দেওয়া হচ্ছে যান চলাচলের জন্য, বাংলাদেশ প্রবেশ করছে সড়ক যোগাযোগের নতুন যুগে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে এ টানেলের উদ্বোধন করবেন, পরদিন যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ৩.৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গপথ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে। সেখানে উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী টানেল দিয়ে যাবেন আনোয়ারা প্রান্তে। সেখানে প্রথম যাত্রী হিসেবে তিনি টোল দেবেন।
বঙ্গবন্ধু টানেলে যাতায়াতে কোন গাড়িকে কত টোল দিতে হবে, তা আগেই নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। গাড়ির ধরন অনুযায়ী সেখানে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা।
এখন বন্দরনগরী থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামে যেতে শাহ আমানত সেতু দিয়ে কর্ণফুলী নদীর পার হতে হয়। সেখানেও টোল দিতে হয়। টানেল ব্যবহার করলে টোল কিছুটা বাড়লেও সময় বাঁচবে অনেকটা।
এ টানেল পার হতে সেডান গাড়ি, জিপ ও পিকআপকে দিতে হবে ২০০ টাকা টোল। শাহ আমানত সেতুতে সেডান গাড়ির জন্য ৭৫ টাকা এবং জিপের জন্য ১০০ টাকা দিতে হয়।
মাইক্রোবাসের জন্য টানেলে টোল দিতে হবে ২৫০ টাকা, যা শাহ আমানত সেতুতে ১০০ টাকা।
টানেলে ছোট বাসের (৩১ বা তার কম আসন) জন্য ৩০০ টাকা এবং বড় (৩২ বা তার চেয়ে বেশি আসন) জন্য ৪০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। শাহ আমানত সেতুতে টোলের হার ছোট বাসে ৫০ এবং বড় বাসে ১৫৫ টাকা।
৫ টনের ট্রাকে ৪০০ টাকা, ৫ থেকে ৮ টনের ট্রাকে ৫০০ টাকা, ৮ থেকে ১১ টনের ট্রাকে ৬০০ টাকা টোল দিতে হবে টানেলে। শাহ আমানত সেতুতে এই হার যথাক্রমে ১৩০, ২০০ ও ৩০০ টাকা।
চার এক্সেলের ট্রেইলারের জন্য টানেলে টোল দিতে হবে ১০০০ টাকা। চার এক্সেলের বেশি হলে প্রতি এক্সেলের জন্য ২০০ টাকা করে বাড়তি দিতে হবে। শাহ আমানত সেতুতে চার এক্সেলের ট্রেইলারের টোল ৭৫০ টাকা।
প্রকল্পের সমীক্ষা অনুযায়ী, এ টানেল চালুর প্রথম বছর ৬৩ লাখ গাড়ি টানেল দিয়ে চলাচল করবে। সে হিসাবে দৈনিক প্রায় ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি চলবে। ২০২৫ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন যাতায়াত করতে পারবে। পর্যায়ক্রমে টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা এক কোটি ৪০ লাখে উন্নীত হবে।