ওই জনপ্রতিনিধির দাবি, সড়ক দখলমুক্ত করতে গিয়ে তিনি বিশেষ মহলের রোষানলে পড়েছেন।
Published : 24 Oct 2022, 10:08 PM
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এক নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করেছেন হকারদের একটি সংগঠনের এক নেতা।
সোমবার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে নালিশি মামলাটি করেন নগরীর ‘টেরিবাজার-আন্দরকিল্লা হকার সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান হাকিম (৪৪)।
মামলায় বিবাদী করা হয়েছে- আন্দরকিল্লা, চকবাজার ও দেওয়ানবাজার ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, তার সহযোগী অপু ধর ওরফে রাজ (২৮) ও মো. ইসমাইলকে (৪০)।
মামলার বাদী লোকমান হাকিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলাটি আদালত গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।”
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত সিটি নির্বাচনের পর থেকে আন্দরকিল্লা, চকবাজার ও দেওয়ানবাজার এলাকার হকারদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি শুরু করেন কাউন্সিলর রুমকি। কেউ চাঁদা দিতে না পারলে বা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের মালামাল রাস্তায় ছিটিয়ে দিয়ে ক্ষতিসাধন করেন তিনি।
ওই জনপ্রতিনিধি উচ্ছেদের নামে সাধারণ হকারদেরকে হয়রানি ও চাঁদার জন্য জিম্মি করে আসছেন বলে এজাহারে বলা হয়।
এতে অভিযোগ করা হয়, গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় সাতটায় জেনারেল হাসপাতালের বিপরীতে আন্দকিল্লা জামে মসজিদের দ্বিতীয় গেইটের সামনে ফুটপাতের উপর মামলার তিন আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জন হকার মোহাম্মদ হাসান আলীর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
“ফলের দোকানদার হাসান আলী কোনো ধরনের চাঁদা দিতে পারবে না বললে এবং অন্যায় দাবির প্রতিবাদ করলে হাসান আলীর ফলের ঝুড়ি রাস্তায় ফেলে দিয়ে ৭ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত সপ্তাহে তিনদিন সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সড়কে অবৈধ হকার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালিত হয়। এরপরও জেনারেল হাসপাতালের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার বিপরীতে সড়কের উপর হকার বসেছিল।
“বৃহস্পতিবার ওই পথ দিয়ে আমি যাওয়ার সময় হকাররা আমার উপর হামলা করে। বিষয়টি সেদিনই মৌখিকভাবে এবং পরদিন লিখিতভাবে কোতোয়ালি থানায় জানিয়েছি।”
কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত বলেন, “একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে উদ্যোগ নেওয়া আমার দায়িত্ব। যে ব্যক্তি মামলা করেছেন, তার নেতৃত্বে বক্সির বিট ও আন্দরকিল্লাসহ আশেপাশের এলাকায় হকার বসানো হয়েছে অবৈধভাবে।
“এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এদের আশ্রয় প্রশ্রয় কে দেয়? সে প্রশ্ন আমার। প্রয়োজনে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিব।”